২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৮:১২:৪৫ অপরাহ্ন


রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ
স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৬-২০২২
রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ


স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রতিবাদে দেশের কোথায় কোথায় এবং কারা প্রতিবাদ করেন, তা নিয়ে নানা আলোচনা নানা কথা শোনা যায়। লেখালেখিতেও অনেক কথা প্রকাশ করা হয়। সে সময় জেলা সদর রাজশাহীর পরিবেশ কেমন ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভয়াবহ আতঙ্ক পরিস্তিতিতে ছাত্র তরুণ যুবক প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন, তাদের সংখ্যা না বলারই মতো। ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার ভূমিকা থাকলেও তারা ছিলেন, হাতেগোনা। এসব নিয়ে একেকজন একেক রকম কথা বলে থাকেন। এসব নিয়ে না বলি, তবে রাজশাহী জেলা সদর থেকে অন্যভাবে যে প্রতিবাদ হয়, তা অনেকেরই অজানা। বা যারা জানেন, তারা তা কখনো বলেন নি। হয়ত বা তারা প্রতিবাদকারীদের মূল্যায়ন করতে চান নি। প্রতিবাদকারী সেই ৪ জন না ফেরার দেশে চলে গেছেন।

একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে হৃদয়স্পর্শ করা গানের রচয়িতা গবেষক সাংবাদিক লেখক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব আব্দুল গাফফার চৌধুরী কলকাতা থেকে প্রতিবাদ হিসেবে সোনার বাংলা প্রকাশ করেছিলেন। সেটি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওস্তাদ হারুনুর রশিদ খানের মাধ্যমে সাংবাদিক মঞ্জুরুল হকের কাছে এলে তিনি রাজশাহী জেলা পরিষদের তত্বাবধানে সাহেব বাজার কুঞ্জভবন থেকে প্রকাশিত রাজশাহী বার্তা অফিসে সম্পাদকের বসার জায়গাটি মেঝেতে গর্তের মতো ফাঁকা অংশ তক্তার নিচে সংরক্ষণ করে রাখতেন। যা সম্পাদক সাহেব কখনোই জানতেন না।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা চৌধুরী খুরশিদ বিন আলম সাংবাদিক মঞ্জুরুল হকের সহযোগিতায় ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্নজনের কাছে পৌঁছে দিতেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ওস্তাদ হারুনুর রশিদ খান বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে সহযোগিতা না পেয়ে ব্যর্থ হয়ে থেমে থাকেন নি। তিনি এভাবে প্রতিবাদে ভূমিকা রাখেন। বরেণ্য ব্যক্তিত্ব আব্দুল গাফফার চৌধুরী স্মরণে আজকের এই অনুষ্ঠানে কথাগুলি বললাম। কারণ এ ঘটনা আমার জানা এবং দেখা।

(রাজশাহী প্রেসক্লাব ও আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত আব্দুল গাফফার চৌধুরী স্মরণ অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা কলামিস্ট প্রশান্ত কুমার সাহার বক্তব্য থেকে সংগৃহীত ২১ মে, ২০২২ সংগ্রহে:  সঞ্জয় পাল) 

(বীর মুক্তিযোদ্ধা কলামিস্ট প্রশান্ত কুমার সাহা)