২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০২:২৩:৪২ পূর্বাহ্ন


লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৬-২০২২
লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন


লক্ষ্মীপুরে বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও স্থানীয় পোদ্দার বাজারের হাবুল্যার ফল দোকানের কর্মচারী আহসান উল্যা হত্যা মামলায় ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

এ সময় একইসঙ্গে দণ্ডিতদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

এ সময় সুমন নামের এক আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিরা হলেন- মুরাদ, জাকির হোসেন, রিপন, নিশান, কামাল ও আলমগীর।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন।

এ সময় তিনি জানান, নিহত আহসান উল্যা বশিকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। আর আসামিরা সবাই বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের আবদুর রহমান কবিরাজ বাড়ির আহসান উল্যা স্থানীয় পোদ্দার বাজারে হাবিবুল্লাহর কাঁঠালের আড়তের কর্মচারী ছিলেন।

২০১৪ সালের ২৬ জুলাই রাতে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় যোগীবাড়ির কাছে পৌঁছলে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা আহসান উল্যাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। পরে এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এজাহারে প্রতিবেশী জাকির গংদের সঙ্গে তাদের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল এবং তারা বিভিন্ন সময়ে আহসান উল্যাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল বলে উল্লেখ করা হয়।

এ হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা অজ্ঞাত হওয়ায় প্রথম দিকে জড়িতদের চিহ্নিত করা না গেলেও পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা সংস্থার এসআই বাশার হত্যাকাণ্ডের সময় দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া একটি মোবাইলের সূত্র দরে প্রথমে কামাল ও পরে আলমগীরকে গ্রেফতার করলে তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কথা তারা আদালতকে জানায়। তাদের স্বীকারোক্তি মতেই পরবর্তীতে অন্যান্য আসামিদের চিহ্নিত করা হয়।

পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২৬ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন।

আলামত, ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচার বিশ্লেষণ করে ৮ বছর পর আদালত এ রায় দেন।

রায়ে সরকার পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামি পক্ষ ন্যায় বিচার পাননি বলে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী হাছিবুর রহমান। তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে আপিল করবেন এবং আপিলে আসামিরা খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

রাজশাহীর সময়/এএইচ