২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:২৭:৩৯ অপরাহ্ন


পৃথিবীর বাইরের রহস্যময় জীবদের আওয়াজ ধরা পড়েছে চিনের টেলিস্কোপে
এম ‍সিয়াম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৬-২০২২
পৃথিবীর বাইরের রহস্যময় জীবদের আওয়াজ ধরা পড়েছে চিনের টেলিস্কোপে পৃথিবীর বাইরের রহস্যময় জীবদের আওয়াজ ধরা পড়েছে চিনের টেলিস্কোপে


একবার নয়, দু’বার, তিনবার, বারবার। ফিরে ফিরে আসছে সেই আওয়াজ। সুদূর মহাকাশ থেকে রেডিও সিগন্যাল ভেসে আসছে বলে হইচই জুড়েছিল চিন। এখন তাদের দাবি, পৃথিবীর বাইরেও প্রাণ থাকতে পারে। কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূর থেকে কারা যেন সঙ্কেত পাঠাচ্ছে। রেডিও টেলিস্কোপে ধরা পড়ছে রহস্যময় আওয়াজ। ভিনগ্রহীরা কি তাহলে সত্যিই আছে?

চিনের স্কাই আই টেলিস্কোপ বিশ্বের বৃহত্তম রেডিও টেলিস্কোপ। চিনা বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, স্কাই আই-তে খুব কম তরঙ্গ তৈর্ঘ্যের সিগন্যাল ধরা পড়েছে। বেজিং নরম্যাল ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অবজার্ভেটরি ও চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স, ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা চালাচ্ছেন। বেজিং নরম্যাল ইউনিভার্সিটির শীর্ষ বিজ্ঞানী ঝ্যাং টোনজি বলেছেন, আগে যে সিগন্যালের কথা বলা হয়েছিল এটা তার থেকে কিছুটা আলাদা। আবারও নতুন সিগন্যাল ধরা পড়েছে। কোথা থেকে ভেসে আসছে এই রেডিও বার্তা তার হন্যে হয়ে খোঁজ শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। সিগন্যালের ধরন দেখে নাকি মনে হচ্ছে ভিনগ্রহীদের থেকেই কোনও রহস্যময় সঙ্কেত ভেসে আসছে।

অ্যাপারচার স্পেরিকাল রেডিও টেলিস্কোপে প্রথম রেডিও সিগন্যাল ধরা পড়েছিল। চিনা বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মহাকাশের রহস্য দেখার জন্য স্কাই আই সবচেয়ে বড় রেডিও টেলিস্কোপ। এর পরিধি প্রায় ১৬৪০ ফুট। ভিনগ্রহের ওপর নজরদারি করার জন্যই চিনের দক্ষিণপশ্চিমে গুইঝউ প্রদেশে এটি বসানো হয়। এর নজর এড়িয়ে যাওয়া খুব মুশকিল। স্কাই আই ধরেছে ন্যারো-ব্যান্ডের কোনও রেডিও বার্তা প্রায় ৩০০ কোটি আলোকবর্ষ দূর থেকে ভেসে আসছে। তবে এই প্রথম নয়। আগেও বারকয়েক এমন সিগন্যাল পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৯, ২০২০ সালে এমন রেডিও সিগন্যাল ধরা পডে়ছিল। এ বছরে আবারও এমন রহস্যময় সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে। এর থেকেই বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন, হতেই পারে ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব আছে। এর আগে বৃহস্পতির চাঁদ (উপগ্রহ) জুনো থেকে রেডিও বার্তা ভেসে এসেছিল। সেবারও বিষয়টা নিয়ে হইচই হয়েছিল। পৃথিবীর বাইরে প্রাণের খোঁজে এখন তুমুল হইচই হচ্ছে। তবে সত্যিই পৃথিবীর বাইরে প্রাণ আছে নাকি মহাকাশের সুপারনোভা বা ব্ল্যাকহোল থেকে কোনও মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ভেসে আসছে সেটা বোঝার চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা।