২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১২:১৫:১৯ পূর্বাহ্ন


একনেকে অনুমোদিত হলো বহুল প্রতিক্ষিত “রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) স্থাপন” প্রকল্প
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৬-২০২২
একনেকে অনুমোদিত হলো বহুল প্রতিক্ষিত “রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) স্থাপন” প্রকল্প ফাইল ফটো


জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর সভায় অনুমোদিত হয়েছে বহুল প্রতিক্ষিত “রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) প্রকল্প” এর  ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপোজাল (ডিপিপি)।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) এ অনুমোদিত হয়।

প্রায় ১,৮৬৭ কোট টাকা ব্যায়ের রাজশাহীস্থ বড়বনগ্রম, বারই পাড়া ও বাজে সিলিন্দা মৌজার প্রায় ৬৮ একর যায়গার উপর নির্মিত হবে দেশের প্রথম পরিকল্পিত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাথমিক ভাবে বিশ্ববিদ্যালটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে এখানে ১০ টি অনুষদের অধীন ৬৮ টি বিভাগের মাধ্যমে প্রতিবছর ৭৮০ জন গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যজুয়েট পর্যায়ের শিক্ষার্থী শিক্ষা ও গবেষনার সুযোগ পাবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলে এখানে ডাক্তার-নার্স সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রায় ৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এর দ্বারা উত্তর অঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষ উন্নত চিকিৎসার আওতায় আসবে। অধিকন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হলে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে বহির্গমনের ফলে প্রতিবছর ব্যায়িতব্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মূদ্রার সাশ্রয় এবং এই নগরীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

রামেবির উপাচার্য এর একান্ত সচিব মো. ইসমাঈল হোসেন বলেন অতি শ্রিঘ্রই শুরু হবে জমি অধিগ্রহণ ও অবকাঠামো নির্মাণ প্রকৃয়া।  প্রাথমিক পর্যায়ে একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ১২০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, মসজিদ, স্কুল, ডে-কেয়ার সেন্টার, কেন্দ্রিয় লাইব্রেরি, ভিসি বাসভন, ডরমেটরি, মেডিকেল গ্যাস প্ল্যান্ট সহ মোট ২১ টি গুরুত্বপূর্ণ ভবন।

২০১৬ সালের ১৮ নং আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১ সালের ২৭ মে  অধ্যাপক ডা. এ, জেড, এম মোস্তাক হোসেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই উপাচার্য মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়টির বাস্তবিক রুপ প্রদানের লক্ষ্যে ডিপিপি প্রনয়ের উপরে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। তার ঐকান্তিক প্রাচেষ্টায় তাঁর যোগদান এর ১ বছরের মাথায় বিশ্ববিদ্যালয় এর মত একটি বড় ও বিশেষায়ীত প্রকল্প একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

উপাচার্য প্রকল্পটি অনুমোদিত হওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। একই সাথে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্য মন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রী, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী সহ একনেক সভার সকল সদস্য বৃন্দ, পরিকল্পনা কমিশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। একই সাথে তিনি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাজশাহীর নগর পিতা এ, এইচ, এম, খাইরুজ্জামান লিটন এর প্রতি, যার সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহযোগীতার দ্বারা প্রকল্পের কাজ কে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।

রাজশাহীর সময়/এম