২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০২:২৭:২১ অপরাহ্ন


পুকুর সংস্কার করতে হলে দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা! নইলে কাজ বন্ধ
স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৬-২০২২
পুকুর সংস্কার করতে হলে দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা! নইলে কাজ বন্ধ পুকুর সংস্কার করতে হলে দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা! নইলে কাজ বন্ধ


পুকুর সংস্কার করতে হলে দিতে হবে ৪০ হাজার টাকা! নইলে কাজ বন্ধ করে দেয়া হবে। এমনই হুমকি দিয়েছে মাদকাশক্ত দুই যুবক ও তাদের সহযোগী জনৈক সাংবাদিক। এ নিয়ে এলাকায় চঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষোভ উপচে পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ দামকুড়া থানার আলোকছত্তর গ্রামে। 

স্থানীয়রা বলছেন, গ্রামের মানুষের যেখানে কোন অভিযোগ নাই। সেখানে চাঁদাবাদজের কি সমস্য ? পূণরায় পুকুর পাড়ে গেলে ধরে পুলিশে দেবেন বলেও জানান তারা। 

পুকুর মালিক মোঃ সোনারুল ইসলাম বলেন, আলোকছত্তর গ্রামে আমাদের ৭বিঘা ৫কাঠা জমি রয়েছে। জমিটি নিচু জায়গা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানি জমে। আবার চৈত্র মাসে সেখানে পানি শুকিয়ে যায়। কোন চাষাবাদ হয়না। ২০০৪ সালে আমি সেখানে হাঁসের খামার করি। কিন্তু কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হই। পরে ২০০৮ সালে পুকুর থনন করে সেখানে মাছের চাষ শুরু করি। যাহা চলমান। আমার জমি সংলগ্ন সেখানে আরও চারটি পুকুর রয়েছে। এই গ্রামে মাছের চাষ ভাল হয়। 

তিনি আরও বলেন, পুকুর পাড় ভেঙ্গে মাটিতে পুকুরের গভীরতা কমে গেছে। তাই বর্ষা মৌসুমে পুকুরের পানি ও ব্যপক মাছও বেরিয়ে যায়। এছাড়া রাস্তা ঘাটে পানি উঠে কাদা হয়ে যায়। ফলে চলাচলের জন্য ভোগান্তিতে পড়ে গ্রামের মানুষ। এ নিয়ে তাকে দু-চার কথাও শোনান গ্রামের মানুষ। তাই এই বর্ষার আগে পুকুর সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। পুকুরের মাটি দিয়েই পুকুরের চারি পাশের পাড় বাঁধাইয়ের কাজ করা হচ্ছে। আর এতেই নেমে এসে বিপত্তি। বুধবার রাত ১১টার দিকে পুকুর পুকুরপাড়ে তিনজন মিলে আসেন (ছদ্দ নাম) মাদক ডট কম। তাদের দাবি ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে। নইলে কাজ বন্ধ করে দেবেন তারা। এছাড়াও নানা ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করেন। এক পর্যায়ে হৈচৈ শুরু হয়। গ্রামের সাধারন লোকজনের পাশাপাশি গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত হয়ে তাদের সরিয়ে দেন। 

এ নিয়ে তারা ফেসবুকে স্ট্যাটাস্ দিয়েছে এবং স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। সরেজমিন যাছাইয়ের জন্য পুরো সাংবাদিক সমাজের প্রতি আহবান জানান পুকুর মালিক সোনারুল।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় পবা উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মোঃ আসরাফুল হক তোতার সাথে। তিনি বলেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে সনেট নামের সাংবাদিক আমাকে ফোন করে বলে জনগণের রোষানলে পড়েছি আমাকে বাঁচান। ফোন পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সনেটের সাথে আরও দু’জন মাদকাশক্ত যুবক। এরপর পরিস্থিতি খারাপ দেখে কৌশলে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দামকুড়া থানায় কাছে নিয়ে যাই। থানায় প্রবেশের পূর্বেই সনেট ভুল স্বিকার করলে তাকে চলে যেতে বলি। 

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনকে অনুরোধ করবো ভুঁইফোড়, অপসাংবাদিক এবং হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুণ। 

এ ব্যপারে জানতে চাইলে দামকুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহবুব আলম বলেন, পুকুর সংস্কার সংক্লান্ত কোন ঝামিলার ঘটনা আমার জানা নাই। তবে চাঁদাবাজি অপরাধ। অভিযোগ পেলে সরেজমিনে তদন্তকরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।