২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৭:৫২ অপরাহ্ন


ওষুধেই সারিয়েছে মারণ ক্যান্সার রোগ!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৬-২০২২
ওষুধেই সারিয়েছে মারণ ক্যান্সার রোগ! ফাইল ফটো


বিশ্বের ইতিহাসে এমনটা প্রথম ঘটল! রেডিয়েশন নয়, কেমোথেরাপি নয়, অস্ত্রোপচার নয়- স্রেফ ওষুধে সেরে গিয়েছে মারণ কর্কটরোগ! সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, Dostarlimab নামের একটি ওষুধ রেক্টাল ক্যান্সারের চিকিৎসায় অভূতপূর্ব সাহায্য করেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, “ইতিহাসে এই প্রথম” ক্যান্সার নির্মূল হয়েছে শুধুমাত্র ওষুধে! একটি পরীক্ষামূলক চিকিত্সার অংশ হিসেবে টানা ছ’ মাস এই নির্দিষ্ট ওষুধ খেয়েই সমস্ত রোগীদের দেহ থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে টিউমার।

পরীক্ষামূলক ব্যবহারে ক্যান্সার নিরাময় করা ডোস্টারলিম্যাব ওষুধটি আসলে কী?

ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ১৮ জন রোগীর একটি দল ছিল। তাঁদের সবাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের মেমোরিয়াল স্লোয়ান কেটারিং ক্যান্সার সেন্টারে মলদ্বারের ক্যান্সারের নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সমস্ত রোগীদের মধ্যেই রেক্টাল ক্যান্সার ছিল স্থানীয়। অর্থাৎ টিউমারগুলি মলদ্বারের মধ্যে এবং কিছু ক্ষেত্রে লিম্ফ নোডগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছিল, তবে অন্যান্য অঙ্গগুলিতে টিউমার ছড়ায়নি।

Dostarlimab নামের ওষুধটি ছয় মাস ধরে এই ১৮ জন রোগীদের দেওয়া হয়েছিল। উল্লিখিত সময়ের জন্য প্রতি তিন সপ্তাহে ওষুধটি নির্ধারিত মাত্রায় তাঁদের দেওয়া হয়েছিল। ট্রায়ালের শেষে সমস্ত রোগীরই শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় যেমন, এন্ডোস্কোপি, পজিট্রন এমিসন টমোগ্রাফি বা পেট স্ক্যান বা এমআরআই স্ক্যান। তবে অবাক করা ব্যাপার হল, কিছুতেই কোনও টিউমার শনাক্ত করা যায়নি।

নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এই ওষুধের প্রতি ডোজের দাম প্রায় ১১,০০০ মার্কিন ডলার বা ৮.৫৫ লক্ষ টাকা। ডোস্টারলিম্যাব ক্যান্সার কোষগুলিকে ‘আনমাস্কিং’ করে কাজ করে। ফলস্বরূপ ইমিউন সিস্টেম এই কোষগুলিকে শনাক্ত করতে এবং ধ্বংস করতে সহায়তা করে।

মলদ্বারের ক্যান্সারের গবেষণাটি ২০১৭ সালে পরিচালিত মেমোরিয়াল স্লোয়ান কেটারিং ক্যান্সার সেন্টারের ডাঃ লুইস এ. ডিয়াজ জুনিয়র দ্বারা পরিচালিত একটি ক্লিনিকাল ট্রায়াল থেকে অনুপ্রাণিত। এই ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সঙ্গে জড়িত রোগীরা আগে কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন এবং অস্ত্রোপচার সহ ক্যান্সার নিরাময়ের সমস্ত চিকিত্সার মধ্য দিয়েই গিয়েছিলেন। ট্রায়ালের পরে অবশ্য কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশনের প্রয়োজনও পড়েনি। রোগীদের দেহে ট্রায়াল শেষ হওয়ার ২৫ মাস পর্যন্ত চিকিত্সা পরবর্তী কোনও জটিলতাও দেখা দেয়নি, ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তির কোনও লক্ষণও দেখা দেয়নি। গবেষণাটির পৃষ্ঠপোষকতা সামলেছে ওষুধ কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন।

রাজশাহীর সময়/এ