২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:১১:০৮ অপরাহ্ন


ঐতিহাসিক ৬দফা দিবস উপলক্ষে,বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে আ’লীগে পুষ্পস্তবক অর্পণ
স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৬-২০২২
ঐতিহাসিক ৬দফা দিবস উপলক্ষে,বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে আ’লীগে পুষ্পস্তবক অর্পণ ঐতিহাসিক ৬দফা দিবস উপলক্ষে,বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে আ’লীগে পুষ্পস্তবক অর্পণ


আজ ৭জুন ঐতিহাসিক ৬দফা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দলীয় কার্যালয়ে “বাঙালির মুক্তির সনদ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল এর সভাপতিত্বে মূখ্য আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ, রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল কাশেম ও আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে। 

আলোচনা সভায় ড. আবুল কাশেম বলেন, ১৯৬৬ সালের আজকের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঘোষিত ৬দফা আন্দোলন পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়। ৬দফা দাবী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তি স্থাপন ও বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে ভিত্তি প্রস্তুত করে। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম ৬দফা আন্দোলন। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের মাধ্যমে যেমন পাক-ভারত উপমহাদেশের জনগণ ব্রিটিশ শোষকদের তাড়ানো ঐক্যমত হয়েছিল। ঠিক তেমনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬দফাকে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠিদের এদেশ থেকে বিতাড়িত করার হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করেন। 

তিনি  আরো বলেন, ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ৬দফার বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের সময় তেজগাঁও বেঙ্গল বেভারেজের অনেকে গুলিতে শহীদ হন। ১৯৬৯ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে বঙ্গবন্ধু সহ সকল রাজবন্দিরদের মুক্তি আন্দোলনের মনোবল ছিল ৬ দফা। এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে ও দেশের সকল স্তরে উন্নয়নের ক্ষেত্রে  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করছেন, সকল প্রতিকূলতা জয় করে বাংলার মানুষকে উপহার দিয়েছেন পদ্মাসেতু। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বেই উন্নত হবে বাংলাদেশ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস ‘বাঙালির মুক্তির সনদ’- যা ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সকল বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে নিয়ে লাহোরে এক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পূর্ব বাংলার জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬-দফা দাবী পেশ করেন। বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা দেখে ও ভীত হয়ে তৎকালীন আইয়ুব খানের স্বৈরাচার সরকার ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এরপর বিক্ষোভে নেমে পড়ে বাংলার মানুষ। অতঃপর বঙ্গবন্ধুর ৬দফা আন্দোলন ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৬-দফার প্রতি বাঙালির অকুণ্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতা।

মোঃ ডাবলু সরকার বলেন, আজ ৭জুন ঐতিহাসিক ৬দফা দিবস। ১৯৬৬ সালের আজকের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬-দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী গণআন্দোলনের শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁর সাথে বিরোধীতা শুরু পশ্চিম পাকিস্তান। সেখানকার বিভিন্ন সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা বলে চিহ্নিত করা হয়। পরে ঢাকায় ফিরে বঙ্গবন্ধু ১৩ মার্চ ৬ দফা এবং এ ব্যাপারে দলের অন্যান্য বিস্তারিত কর্মসূচি দলের কার্যনির্বাহী সংসদে পাস করিয়ে নেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রেজাউল ইসলাম বাবুল, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, উপদেষ্টাম-লীর সদস্য ইসমাইল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার প্রমুখ।