রাজশাহীতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মাছ-মাংস, তেল ও ডালের দাম। কাঁচাবাজারে সবজি ও মুরগির দাম কমলেও মাংসের বাজারে গরু-খাসির দাম উর্দ্ধমুখী।
অন্যদিকে গত সপ্তাহের মত স্থিতিশীল রয়েছে চাল, চিনি, পেঁয়াজ, কাঁচা মসলা ও ডিমসহ মুদি সামগ্রীর দাম। গরু-খাঁসির মাংস, তেল ও ডালের দামের ঊর্দ্ধগতির কারণে এখন বিপাকে পড়েছে বাজার করতে আসা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা।
শুক্রবার (২৮ জানিুয়ারি) রাজশাহীর সাগরপাড়া ও সাহেব বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গরুর মাংসের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ টাকা, মাছের বাজারে সকল মাছ ৪০ থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ডালের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। সবজির বাজারে সকল সবজি কেজি প্রতি কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা আর মুরগির দোকানে সোনালী মুরগি কেজি প্রতি কমেছে ১০ টাকা।
বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা ও খাঁসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা। সাহেব বাজারের মাংস ব্যাবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, হাটে গরুর দাম চওড়া তাই মাংসের দাম কমেনি! কমার সম্ভবনাও কম।
মাংস কিনতে আসা ক্রেতা অসীম সরকার বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এখন আমাদের নাগালের বাইরে। সপ্তাহে একদিন সবাই পরিবারের জন্য মাংস নিতে চায়। কিন্তু’ মাংসের দাম এখন আকাশ ছোঁয়া’।
মুরগির বাজারে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে, ৩৯০ টাকা, সোনালী ২২০ টাকা, ব্রয়লার ১৫০ টাকা ও লেয়ার ২০০ টাকা।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট বড় সকল মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ১০০ টাকা। ছোট ইলিশ ৬০০-৮০০ টাকা। মিড়কা মাছ ২০০ থেকে ২৮০ টাকা। কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ৩২০ টাকা, রুই মাছ ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা। সিলভার কার্প ১৫০ থেকে ২২০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা।
নদী ও দেশি প্রজাতি শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে-৬০০ টাকা, গুচি মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, নদীর পিউলি মাছ ৮০০ টাকা, বাঁশপাতা এক হাজার, বয়া মাছ ৬০০ টাকা, পাবদা ৭০০ টাকা, বড় আইড় ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও সকল মাছ ৩০০ থেকে থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাহেব বাজার এলাকার মাছ বিক্রেতা শাহীন শাহ্ জানান, ‘কিছু মাছের আমদানি কম তাই দামটা একটু বেশি। সকল মাছের দাম আজ কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেশি।’
মাছ ক্রেতা ফায়সাল আহমেদ জানান, ‘গত সপ্তাহে মাছের দাম বেশি ছিলো আজ আরোও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল মাছের দাম বেশি।’
সবজির বাজারে দাম কমেছে। বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা, পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, রসুন ৬০ টাকা, আদা ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, কলা প্রতি হালি ২০ টাকা, ব্রকলি ২০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা ও সকল শাক ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাহেব বাজার এলাকার সবজি ব্যবসায়ী রমজান আলী জানান, ‘রাজশাহীর আশে-পাশের গ্রামের জমি গুলো থেকে বাজারে প্রচুর সবজি আমদানি হয়েছে তাই দাম কমেছে।’
গত সপ্তাহের মত এ সপ্তাহে সকল মুদিপন্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। মুদির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সকল পন্যের দাম স্থিতিশীল আছে। সাহেব বাজারের গিয়ে দেয়া যায়, সাদা চিনি ৭৬ টাকা, দেশি চিনি ৮২ টাকা, মসুর ডাল ১২০ টাকা, সোনা মুগ ১৩৫ টাকা, তেল ১৪৫ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। ৫ লিটারের সকল তেল ক্যান প্রতি ৭২০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে আঠাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৬ টাকা, মিনিকেট ৬২ টাকা, বাসমতি ৭২ টাকাসহ অন্যনো চাল ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দামের কোন পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি। লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৩ টাকা হালি, সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা হালি।
রাজশাহীর সময় /এএইচ