২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৩:০২:৪৩ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে গানে গানে পপগুরু আজম খানকে স্মরণ, ভক্তদের ঢল
স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৬-২০২২
রাজশাহীতে গানে গানে পপগুরু  আজম খানকে স্মরণ, ভক্তদের ঢল রাজশাহীতে গানে গানে পপগুরু আজম খানকে স্মরণ, ভক্তদের ঢল


রাজশাহীতে গানে গানে বাংলাদেশের মাইকেল জ্যাকসনখ্যাত পপসম্রাট বীর মুক্তিযোদ্ধা আজম খানকে স্মরণ করা হয়েছে। রবিবার (৫ জুন) সন্ধ্যায় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে তাঁর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাকে স্মরণ করে রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পী আনোয়ারুল আক্তার স্বপন তার ব্যান্ড দল নিয়ে গান পরিবেশন করে অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলেন। এ সময় পুরো জিরো পয়েন্ট এলাকাজুড়ে সড়কে দাঁড়িয়েই গান উপভোগ করেন আজম খানের ভক্তরা। অনুষ্ঠানে আজম খানের বেশকটি জনপ্রিয় গান পরিবেশন করা হয়।

এর আগে বিকেলে আজম খানের স্মরণ সমাবেশ আয়োজক সংগঠন দুটির সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলার সঞ্চালনায় ভার্চুঢালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ: সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহিন আক্তার রেণী। প্রধান বক্তা ছিলেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা। সমাবেশে বিটিসি নিউজের সম্পাদক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান রেজা, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সিনিয়র সহ: সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল, সহ: সভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টু, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক আমানুল্লাহ আমান, সিনিয়র সদস্য মো. শরিফ উদ্দিননহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, দৈনিক সংবাদের স্টাফ রিপোর্টার সুব্রত দাস, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের আল-আমিন হোসেন, ইকবাল হাসান টাইগার, আরিফুল ইসলাম, ত্রিশুল কুমার প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজম খান এদেশের পপ গানের জনক। ২১ বছর বয়সে অংশ নেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দুই মাস গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে কুমিল্লার শালদায় হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হন। যুদ্ধে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য তাকে তদানিন্তন ব্ল্যাকপ্লাটুনকে (যারা এর আগে থেকেই ঢাকায় গেরিলা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছিল) সহায়তা করার জন্য মুক্তিবাহিনীর একটি গেরিলা দলের সেকশন কমান্ডার হিসেবে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তার নেতৃত্বে ঢাকার সেনানিবাস, গুলশান, ডেমরা ও যাত্রাবাড়ি সহ আরও অনেক এলাকায় বীরত্বপূর্ণ গেরিলা অপারেশন পরিচালিত হয়। আজম খানের অবদান চিরস্মরণীয়।