রাজশাহী নগরীর ভদ্রা এলাকায় রেলওয়ে কর্মী জহুরুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে রেলওয়ের কর্মচারী মতিয়ার।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে রেলের জমিতে ধান লাগানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত জহুরুল রাজশাহী রেলওয়ে কলোনীর মৃত হযরত আলীর ছেলে। সে ১৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক। জহুরুল রেলওয়ের পোর্টার পদে আমনুরা স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও তিনি রেলওয়ে শ্রমিক লীগের ওপেন লাইন শাখার সহ-সভাপতি পদে ছিলেন।
এদিকে হত্যাকান্ডের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চন্দ্রিমা থানার ওসির নেতৃত্বে রেলওয়ে কোয়ার্টার এলাকায় ব্যাপক সাড়াসি অভিযান চালিয়ে মূলহোতা ও খুনি রেলওয়ের পিয়ন মতিয়ারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন ওসি।
স্থানীয় ১৯ নম্বন ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রেলওয়ে কলোনী থেকে পূর্বদিকে এবং ভদ্রা বস্তি থেকে পশ্চিম দিকে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, হাজরাপুকুর এলাকার বাসিন্দা ও রেলওেয়ের পোর্টার জহুরুল তার বাড়ির পাশে রেলের একটি জায়গায় চাষাবাদ করতেন। এ নিয়ে অনেক দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল একই এলাকার মতিয়ারের সাথে। মতিয়ার নিজেও রেলের পিয়ন পদে কর্মরত। সজীব এবং জহুরুল একত্রে ওই জমি চাষাবাদ করতেন।
জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার ওসি এমরান আলী জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে জহুরুলকে হত্যা করেছে তার প্রতিপক্ষরা। মূলহোতা ও খুনি রেলওয়ের পিয়ন মতিয়ারকে গ্রেফতার হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নিহত জহুরুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
রাজশাহীর সময় / এফ কে