২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ০২:২৩:২৫ অপরাহ্ন


মহামারিতে যেসব ডিজিটাল অভ্যাস গড়ে উঠেছে
ফারহানা জেরিন এলমা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০১-২০২২
মহামারিতে যেসব ডিজিটাল অভ্যাস গড়ে উঠেছে ফাইল ফটো


মহামারির শুরু থেকে মানুষেরা তাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া দ্রুত পরিবর্তনগুলো মোকাবিলা করার উপায় খুঁজে চলেছে। শারীরিক কিংবা মানসিক, দুই ক্ষেত্রেই তারা এটি করছে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর লকডাউনের কারণে পুরো বিশ্ব এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়েছিল। যে কারণে বেশিরভাগ মানুষকেই বাড়িতে বন্দি থাকতে হয়েছে। এসময় মানুষের মাঝে নতুন কিছু করার প্রবণতা যেমন বেকিং, কফি তৈরি, ইনডোর ওয়ার্কআউট এবং আরও অনেক কিছু তৈরি হয়েছে। তবে এটি শুধু এটুকুতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। সেখানে ডিজিটাল প্রবণতাও ছিল যা তখন থেকেই মানুষের জীবনের স্থায়ী অংশ হয়ে উঠেছে। জেনে নিন তার কয়েকটি-

ভার্চুয়াল ট্রিভিয়া

ভার্চুয়াল চ্যাট রুম, স্পেস এবং ট্রিভিয়া মহামারি চলাকালীন একটি প্রবণতা হয়ে উঠেছে যা বিশ্বকে বিনোদন দিয়েছে। গুগল মিট এবং জুমের মতো প্ল্যাটফর্মে ভার্চুয়াল ট্রিভিয়া প্রতিযোগিতা বিপুল সংখ্যক মানুষকে একত্রিত হতে এবং খেলতে সক্ষম করে। যারা বাস্তব জীবনে কখনও একে অপরের সাথে দেখা করেনি তারা একে অপরের সাথে দেখা করতে এবং যোগাযোগ করতে পারে যা এই কার্যকলাপগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

ক্রসিং খেলা

এই ধরনের গেমগুলো মানুষের সঙ্গে সংযোগ করার একটি দুর্দান্ত উপায়। কারণ এগুলো আপনাকে ভার্চুয়াল দ্বীপ তৈরি করার পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয়। যেহেতু মহামারির কারণে আড্ডা কিংবা সমাবেশ বন্ধ ছিল, তাই এধরনের অভিজ্ঞতাগুলো আমরা যা মিস করেছি তার সঙ্গে বেশ মিলে যায়। সে কারণেই এগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

জুম কল

লকডাউনের সময় বাড়িতে বসে কাজ করা মানুষেরা ধীরে ধীরে একাকী বোধ করতে শুরু করে এবং একটি সহ-কর্মক্ষেত্র তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় যেখানে সারা বিশ্বের লোকেরা অংশগ্রহণ করে। ক্যামেরা চালু করে তারা নীরবে কাজ করতো এবং একে অপরের  সঙ্গে যোগাযোগ করতে চ্যাট ব্যবহার করতো।

সাপোর্ট গ্রুপ

সাপোর্ট গ্রুপের কারণে অনেক সমমনা মানুষ নিজেদের মতের মিল খুঁজে পেয়েছে যা উভয় প্রান্তের মানুষকে সাহায্য করে। সাপোর্ট গ্রুপ অনেক লোককে মতামত শেয়ার করার মাধ্যমে নতুন বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। পরিবার ও বন্ধুদের থেকে দূরে থাকার সময়ে অনেকেই এখানে স্বস্তি খুঁজে পেয়েছেন।

রোল প্লেইয়িং গেমস

রোল প্লেইয়িং গেমসগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং মহামারি চলাকালীন ব্যাপকভাবে খেলা হয়েছে। এমনকী মাঝে যখন মহামারি অনেকটা কমে এসেছিল তখনও গেমগুলো জনপ্রিয়ই ছিল। যারা আগে বাস্তবে গেমগুলো খেলতো, তারা এখন জুমের মতো অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মাধ্যমে এটি খেলা সহজ বলে মনে করে।

রাজশাহীর সময় / এফ কে