২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:৫২:৪৩ অপরাহ্ন


ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে পিটিয়ে হাসপাতালে
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০৫-২০২২
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে পিটিয়ে হাসপাতালে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে পিটিয়ে হাসপাতালে


টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় সিরাজকান্দী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে ওই এলাকার জাহিদ, সাগর, শাহাদাত, বাছেদ, স্বপনসহ ৮-১০ জন বখাটে। 

সোমবার মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পুনর্বাসন এলাকায় ওই শিক্ষকের ওপর হামলা চালায় তারা। বর্তমানে তিনি ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন।

জানা যায়, রোববার মাদ্রাসার মেয়েদের কমনরুমের কাছে টয়লেটের ওপর দিয়ে উঁকি মারছিল জাহিদ ও সাগর নামের দুই বখাটে। এ ঘটনাটি ওই মাদ্রাসার শিক্ষকরা টের পেলে বখাটে দুজনের মধ্যে সাগর পালিয়ে যায় এবং জাহিদকে ধরে অফিসকক্ষে নিয়ে যান শিক্ষকরা। 

পরে পুলিশ ও মাদ্রাসার সভাপতিকে জানানোর কথা শুনে তাদের কাছ পালানোর চেষ্টা করে জাহিদ। কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্ররা তাকে ধরে ফেলে। পরে সুজন নামে তার এক বড় ভাই জাহিদকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। 

সোমবার ওই মাদ্রাসার শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও মুন্নাফ নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পুনর্বাসন এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকের কাছে পৌঁছলে জাহিদ, সাগর, শাহাদাত, বাছেদ, স্বপনসহ ৮-১০ জন বখাটে শিক্ষক নজরুল ইসলামকে মারার জন্য পথ আটকায়। 

একপর্যায়ে বখাটেরা তাকে রড ও ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে মাথায় ও হাতে আঘাত করে আহত করে। পরে এলাকাবাসী ও শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আহত শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসা থেকে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় বদিউজ্জামানের ছেলে জাহিদ, আব্দুল আলীমের ছেলে সাগর, আকতার হোসেনের ছেলে শাহাদাত, আব্দুল গফুরের ছেলে বাছেদ ও ফজলুর ছেলে স্বপনসহ আরও কয়েকজন বখাটে হঠাৎ আমার পথ আটকায়। পরে তারা লোহার রড ও ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে মাথায় ও হাতে আঘাত করে রক্তাক্ত করে আহত অবস্থায় ফেলে যায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

সিরাজকান্দী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস জানান, আমি সকালে মাদ্রাসার কাজে ভূঞাপুর গিয়েছিলাম। হঠাৎ শুনতে পেলাম কিছু বখাটে মিলে মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক মাওলানা নজরুল ইসলামকে লোহার রড ও ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত করেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বখাটে ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. ইশরাত জাহান জানান, এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহীর সময়/এমজেড