২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:১৭:১১ পূর্বাহ্ন


রাবিতে ২ শিক্ষককে চাকরিচ্যুত,পদোন্নতি স্থগিত একজনের
রাবি প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৫-২০২২
রাবিতে ২ শিক্ষককে চাকরিচ্যুত,পদোন্নতি স্থগিত একজনের ফাইল ফটো


কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা ও সুপারভাইজারের সই জালিয়াতির দায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এছাড়াও একজন শিক্ষককে চার বছরের জন্য পদোন্নতি স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার (২৯ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৪তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

চাকরিচ্যুত দুই শিক্ষক হলেন: মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে হাবিবা জেসমিন এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক সালমা খাতুন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৪ তম সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাস ভবনের কনফারেন্স রুমে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগর।

সাদিকুল ইসলাম বলেন, বিকেলে ৫১৪ তম সিন্ডিকেট সভায় ২ জন শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও ১ জন শিক্ষককের পদন্নোতি ৪ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হওয়া ২ জন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে হাবিবা জেসমিন। তার বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ও অনুমতি না নিয়েই ছুটিতে থাকা এবং ছাড়পত্র না নিয়ে বিদেশে অবস্থানের অভিযোগ আনা হয়।

পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বরখাস্তকৃত অন্যজন হলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সালমা সুলতানা।

তার বিরুদ্ধে সুপার ভাইজার ও ডাক্তারের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে হাইকোর্ট থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটানোর অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকেও স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় উক্ত সিন্ডিকেট সভায়।

এছাড়া শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণু কুমার অধিকারীকে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে ৪ বছরের জন্য পদন্নোতি স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে গত ৫১২ ও ৫১৩ তম সিন্ডিকেট সভার ওই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে এই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৫১৪ তম সিন্ডিকেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাদের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে নিয়মানুযায়ী রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের স্ব স্ব নামে কেন তাদের বরখাস্ত এবং অপসারণ করা হবে না মর্মে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য পত্র দেওয়া হয়। অভিযুক্ত তিনজন নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সেই পত্রের জবাব প্রদান করেন কিন্তু তদন্ত কমিটির কাছে তাদের জবাব সন্তুষ্টজনক না হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানা যায়।

রাজশাহীর সময়/এইচ