২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:১৮:২৩ অপরাহ্ন


অসুস্থ ব্যক্তির আমলের সওয়াব ও ফজিলত
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৫-২০২২
অসুস্থ ব্যক্তির আমলের সওয়াব ও ফজিলত ফাইল ফটো


নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'তোমরা অসুস্থ হওয়ার আগে সুস্থতাকে মর্যাদা দাও।' সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতা মহান আল্লাহ তাআলার নেয়ামত। তারপরও যদি কেউ কোনো কারণে অসুস্থ হয়ে যায়। এ অসুস্থতাও ওই ব্যক্তির গুনাহের কাফফারা হয়। অসুস্থতার ফলে গুনাহ মাফ হয়ে যায়। হাদিসে এসেছে-

১. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুমিন রোগাক্রান্ত হলে আল্লাহ তাকে (গুনাহ থেকে) এমনভাবে পরিচ্ছন্ন করেন; যেভাবে হাপড় লোহাকে পরিচ্ছন্ন করে।' (আদাবুল মুফরাদ)

সুস্থ থাকাকালীন সময়ে অসুস্থ ব্যক্তি যেসব নেক আমল, ইবাদত-বন্দেগি করতো, অসুস্থ হওয়ার পর আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে সুস্থ থাকাকালীন সময়ের ইবাদত-বন্দেগির সওয়াব দান করবেন বলে ঘোষণ দিয়েছেন নবিজী। হাদিসে এসেছে-

২. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'কোনো ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হলে ওই অবস্থায় সে তার সুস্থাবস্থায় যেরূপ আমল করতো সেরূপ সওয়াব তার জন্য লেখা হয়।' (মুসনাদে আহমাদ, মুসনাদে বাযযার, মুসতাদরাকে হাকেম, আদাবুল মুফরাদ)

৩. হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে কোনো মুসলমানকে আল্লাহ যখন দৈহিকভাবে পরীক্ষায় ফেলেন, তার সুস্থাবস্থায় সে যেরূপ আমল করতো ঠিক তদ্রুপ সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হতে থাকে; যতক্ষণ সে রোগাক্রান্ত থাকে। এরপর যদি তিনি তাকে রোগমুক্ত করেন তবে তাকে (গুনাহ থেকে) ধুয়ে (পরিচ্ছন্ন করে) দেন, আর যদি তাকে মৃত্যু দান করেন তবে তাকে ক্ষমা করে দেন।' (মুসনাদে আহমাদ, আদাবুল মুফরাদ)

কোনো আমলই গুরুত্বহীন নয়। মুমিন মুসলমানের প্রতি আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ যে, তিনি তার মুমিন বান্দাকে সুস্থ অবস্থায় আমল করার তাওফিক দান করেন। আবার বান্দা যখন অসুস্থ হয়ে যায়, তখন সুস্থ অবস্থায় যেভাবে আমল-ইবাদত করতো সেভাবে আমল-ইবাদতের সওয়াব দানে ধন্য করেন।

এ কারণে মুমিন মুসলমান সুস্থ ও অসুস্থ উভয় অবস্থায় মহান আল্লাহর পরিপূর্ণ কৃতজ্ঞতা আদায় করে। আল্লাহর রহমত এবং নেয়ামতও মুমিন বান্দার প্রতি সব সময় নাজিল হতে থাকে।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, সুস্থতাকে মর্যাদা দেয়া। স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা। ইবাদত-বন্দেগিতে মনোযোগী হওয়া। আর অসুস্থ হয়ে গেলেও মহান আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস রাখা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সুস্থ অবস্থায় যথাযথভাবে ইবাদত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। অসুস্থ অবস্থায়ও আল্লাহর স্মরণে নিজেকে নিয়োজিত রাখার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত যথাযথ ফজিলত ও মর্যাদা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

রাজশাহীর সময়/এইচ