২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৭:৫৯:০৭ অপরাহ্ন


চীনকে ঠেকাতে চার দেশের বড় পদক্ষেপ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৫-২০২২
চীনকে ঠেকাতে চার দেশের বড় পদক্ষেপ ফাইল ফটো


ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য বাস্তবিক সুবিধার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একটি নৌ-নজরদারি পরিকল্পনা নিয়েছে কোয়াড নেতারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনকে মোকাবিলায় এটি তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া- এই চার দেশের অনানুষ্ঠানিক জোট কোয়াড। মঙ্গলবার তারা জানিয়েছে, অবৈধ মৎস্যশিকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেআইনি তৎপরতা শনাক্ত করতে সহায়তা করবে দ্য ইন্দো-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ ফর ম্যারিটাইম ডোমেইন ওয়ারনেস (আইপিএমডিএ) নামের এই পরিকল্পনা।খবর আল-জাজিরার।

যদিও এতে চীনের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া এই উদ্যোগের বিস্তারিত তথ্যও প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় চীনা নৌযানের অনুপ্রবেশসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনের অবৈধভাবে মৎস্যশিকারের অভিযোগ করে আসছে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গোয়েন্দা তথ্য পেতে বাণিজ্যিক উপগ্রহ-নজরদারি সেবায় তহবিল দেবে কোয়াড দেশগুলো।

রেডিও তরঙ্গ ও রাডার সিগনালের মাধ্যমে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নৌপর্যবেক্ষণ করবে কোয়াড। যদি কোনো নৌকা তার স্বয়ংক্রিয় তথ্য ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ করেও রাখে, তবুও সেটিকে শনাক্ত করা যাবে নতুন এই পদক্ষেপের মাধ্যমে।

এভাবে কোনো নৌযান শনাক্ত হওয়ার পর তা আঞ্চলিক নজরদারি কেন্দ্র নেটওয়ার্কে শেয়ার করা হবে। ভারত, সিঙ্গাপুর, ভানুয়াতু ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জে আঞ্চলিক নজরদারি কেন্দ্র থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক ফেলো গ্রেগ পোলিং বলেন, আইপিএমডিএ খুবই উচ্চাভিলাষী একটি প্রকল্প। ভারত মহাসাগরীয় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি ব্যাপক সহায়ক হবে। কারণ সাগরে নজরদারি করার মতো উপকরণ এসব দেশের নেই।

তিনি বলেন, এ পদক্ষেপে অবৈধ মৎস্যশিকার ও চীনের নৌআইন লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করা সহজ হবে। এতে খরচও কম পড়বে। আঞ্চলিক দেশগুলোর নজরদারি সক্ষমতাও বাড়িয়ে দেবে প্রকল্পটি।

চীনের দূরবর্তী নৌবহরে তিন হাজার নৌযান আছে। যা বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় বেশি। চীনা সরকারের ভর্তুকিতে চলা এসব নৌযান বৈশ্বিক অবৈধ মৎস্যশিকার সূচকে সবার ওপরে। কোনো সরকারের অনুমোদন না নিয়েই সেই দেশের জলসীমায় বেআইনিভাবে মাছ শিকার করে এসব নৌকা।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবৈধ মাছ শিকারের দায়ে ভানুয়াতু, পালাউ, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনা নৌকা আটক করা হয়েছিল। কেবল মৎস্যশিকার দিয়ে চীনা নৌবহরের ঔদ্ধত্য থেমে নেই।

প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর দক্ষিণ চীন সাগরে এসব নৌকাকে আধাসামরিক বহর হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।

রাজশাহীর সময়/এমজেড