২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:২২:১৪ পূর্বাহ্ন


জয়পুুরহাটে দুই নারী'র মরদেহ উদ্ধার
নিরেন দাস,জয়পুুরহাট প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৫-২০২২
জয়পুুরহাটে দুই নারী'র মরদেহ উদ্ধার জয়পুুরহাটে দুই নারী'র মরদেহ উদ্ধার


জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় নিজ বাড়ির শয়ন ঘর থেকে এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে কালাই থানা পুলিশ। শনিবার (২৮ মে) সকালে উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের দুধাইল-নয়াপাড়া

গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শিপন বেগম (৪১) ওই গ্রাামের তোজাম্মেল হোসেনের স্ত্রী। তিনি চার সন্তানের জননী ছিলেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দুধাইল-নয়াপাড়া গ্রামের তোজাম্মেল হোসেনের স্ত্রী চার সন্তানের জননী শুক্রবার দিবাগত রাতে স্বামী, সন্তান নিয়ে রাতের খাবার শেষে নিজ শয়ন কক্ষে তার ছোট ছেলেকে নিয়ে ঘুমাতে যায়। নিহনেত স্বামী তোজাম্মেল ও তার অন্য সন্তানেরা আলাদা আলাদা ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। কে বা কাহারা গতরাত প্রায় আড়াইটার দিকে শয়ন কক্ষের ভিতর ঘুমন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূ শিপন বেগম’কে জবাই করে হত্যা করেন। রাত ৩ টার দিকে নিহতের স্বামী-সন্তানের চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে দেখতে পায় তোজাম্মেল তার স্ত্রীর গলাকাটা স্থানে কাপড় জাতীয় কিছু দিয়ে ধরে রক্ত আটকানোর চেষ্টা করছিল। পরে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহটি কালাই থানা পুলিশ উদ্ধার করে।

নিহত শিপন বেগমের মা জোসনা বেগম বলেন, আমার কলিজার টুকরা মেয়ে শিপন বেগম সহজ সরল ছিলো। শুক্রবার দিবাগত রাতে আমার মেয়েকে জবাই করে হত্যা করেছে, যারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের আমি সুষ্ঠ বিচার ও ফাঁসি চাই।

উদয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নূরনবী প্রধান বলেন, নিহত শিপন বেগমের বাড়ির পাশে আমার বাড়ি। গত রাত ৩ টার দিকে নিহত শিপন বেগম স্বামী-সন্তানের চিৎকারে ছুটে এসে দেখতে পাই মোজাম্মেল তার স্ত্রীর গলাকাটা স্থানে কাপড় জাতীয় কিছু দিয়ে চেপে ধরে রক্ত আটকানোর চেষ্টা করছিল। তবে কে বা কাহারা তাকে গলাকেটে হত্যা করেছে তা আমার জানা নেই।

কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মঈনউদ্দীন জানান, আমরা খবর পেয়েই ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ হত্যা রহস্য উদঘাটনে জন্য বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে সিআইডি, ডিবিসহ পুলিশের বিভিন্ন টিম কাজ করছেন।

অপরদিকে ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন ইয়াজদানী জানান, প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ২১ এপ্রিল বাড়িতে ডেকে এনে বিউটি বিবি নামের এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে টয়লেটের কুপে মরদেহ চাপা দেয় ক্ষেতলালের শিবপুর গ্রামের প্রেমিক উজ্জল হোসেন। ওই নারীর বাড়ি বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ দামগড় গ্রামে। নিহতের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে পুলিশ শুক্রবার প্রেমিক উজ্জলকে আটক করে।

পরে তার দেওয়া তথ্যে শনিবার সকালে বগুড়ার জেলা পুলিশ উজ্জলের বাড়ির টয়লেটের কুপ থেকে হত্যার এক মাস ৭ দিন পর বিউটির মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ক্ষেতলাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।