২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৭:৫৭:১৩ পূর্বাহ্ন


আত্মহত্যার হিড়িক, সম্পর্কের টানাপোড়েনই বড় কারণ বললেন শ্রীলেখা
তামান্না হাবিব নিশু :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৫-২০২২
আত্মহত্যার হিড়িক, সম্পর্কের টানাপোড়েনই বড় কারণ বললেন শ্রীলেখা আত্মহত্যার হিড়িক, সম্পর্কের টানাপোড়েনই বড় কারণ বললেন শ্রীলেখা


পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদারের পর শুক্রবার সকালে পাটুলির ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগীর। এ নিয়ে পরপর তিনটে মৃত্যু।

অভিনেত্রী, মডেলদের মধ্যে এই আত্মহননের পথে হাঁটার সংক্রমণ কেন? কী এমন অভিঘাত তৈরি হচ্ছে যে, একেবারে জীবন শেষ করে দেওয়ার পথে হাঁটছেন কলকাতা, শহরতলি, মফস্বলের ছাপোষা বাড়ির সন্তানরা? এ ব্যাপারে একাধিক দিকে আলোকপাত করলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।

তিনি বলেন, একদিকে যেমন রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার ইঁদুর দৌড়, তেমনই সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ না করতে পারা, হঠাৎ করে হাতে অনেক পয়সা পেয়ে যাওয়া সব মিলিয়েই এই প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। শ্রীলেখার কথায়, “তাঁরা মন খারাপের কথা বলবেন কাকে?”  

বিক্ষিপ্ত ভাবে গ্ল্যামার দুনিয়ায় আত্মহত্যার ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু এই রকম একই বয়সী অভিনেত্রী মডেলদের পরপর আত্মহত্যার প্রবণতা নতুন। যা দুশ্চিন্তার বলেও মনে করছেন অনেকে। পল্লবীর মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদিশা লিখেছিলেন, ‘এটা তুমি কী করলে!’ আবার সেই বিদিশাই বুধবার আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার বাঘাযতীনের ফটোশ্যুট থেকে ফিরে এসে মঞ্জুষা তাঁর মাকে বলেছিলেন ‘কালকে তোমার বাড়িতেও বিদিশার বাড়ির মতো সাংবাদিকরা আসবে। এরপর সকালে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়। সামগ্রিক ভাবেই শ্রীলেখা মনে করেন, প্রতিটা শ্যুটিং ইউনিটে সাইকোলজিক্যাল ইভ্যালুয়েশন তথা মনস্তাত্বিক মূল্যায়ণ বাধ্যতামূলক করা উচিত।

শ্রীলেখা আরও বলেন, এই প্রবণতা তৈরি হওয়ার নেপথ্যে অনেকগুলি কারণ রয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিযোগিতা। ইনস্টার ফলোয়ার কত, রিলে কত ভিউ এই সোশ্যাল মিডিয়ার চাপ ডিপ্রেশনের একটা অন্যতম কারণ। সেইসঙ্গে শ্রীলেখা এও বলেন, অনেকেই আসছেন মফস্বল থেকে। কলকাতা শহরের জীবনযাত্রার সঙ্গে তাঁদের বড় হওয়া মেলে না। এখানে আসার পর পাল্লা দেওয়ার যে মনোভাব তৈরি হয় সেটাও অনেককে আস্তে আস্তে ট্র্যাকের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে।

তা ছাড়া সম্পর্ক সামলাতে পারার মতো পরিণত অনেকেই নন। শ্রীলেখার কথায়, “আমি মনে করি লিভ ইন করা বিজ্ঞানসম্মত। একসঙ্গে থাকার শ্রেষ্ঠ উপায়। কিন্তু অনেকেই ব্যাপারটা হ্যান্ডল করতে পারছেন না।” এরসঙ্গেই শ্রীলেখা জুড়ে দেন, সামাজিক জ্যাঠামোর প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, “সমাজ সবসময় জাজ করতে চায়। একটা সম্পর্ক ভাঙলে ছেলেটা খারাপ, কিংবা মেয়েটা অনেকের সঙ্গে ঘুরতো ইত্যাদি, প্রভৃতি বলে কিছু একটা দেগে দেওয়া হয়। অভিনেত্রী মনে করেন, এই সামগ্রিক ব্যাপারটাই মননে চাপ তৈরি করছে। যা অনেকে সামলে উঠতে পারছেন না। তারপর জীবন শেষ করে দিচ্ছেন।