১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:২১:৪৯ পূর্বাহ্ন


গুরুদাসপুর পোস্ট অফিসের শাখা ব্যাংকের টাকা চুরি রহস্যজনক!
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০১-২০২২
গুরুদাসপুর পোস্ট অফিসের শাখা ব্যাংকের টাকা চুরি রহস্যজনক! গুরুদাসপুর পোস্ট অফিসের শাখা ব্যাংকের টাকা চুরি রহস্যজনক!


নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরে অবস্থিত “হাট গুরুদাসপুর” পোস্ট অফিসের শাখা ব্যাংক এশিয়ায় টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার (২৬ জানুয়ারী) রাতের কোন এক সময় ওই চুরির ঘটনা ঘটে। এই চুরির ঘটনাকে রহস্যজনক বলে জানিয়েছে গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে পোষ্টা মাষ্টারের বরাত দিয়ে ওসি আব্দুল মতিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আর্থিক লেনদেনের জন্য ব্যাংক এশিয়া হাট-গুরুদাসপুর পোষ্ট অফিসের সাথে এজেন্ট শাখা হিসেবে যৌথভাবে কাজ করে। প্রতিদিন তাদের কার্যক্রম শেষে ব্যাংকে যদি টাকা জমা দিতে না পারেন সেক্ষেত্রে তারা থানায় এসে টাকাসহ অন্যান্য মূলব্যান জিনিস জমা রাখতে পারেন। গতকালকেও পোষ্ট মাষ্টার মিজানুর রহমান অফিসের শাখা ব্যাংকের সিএসও কেয়া খাতুনকে জিজ্ঞাসা করেছেন কোনো টাকা বা ক্যাশ আছে কিনা। সিএসও জানিয়েছিলেন কোনো টাকা নেই।

যেহেতু ব্যাংকে কোনো ক্যাশ নেই এবং সারাদিনে গ্রাহকের ১৮ লাখ টাকা ব্যাংকে জামাও করেছেন সিএসও। সেজন্য চুরির ঘটনাটি রহস্যজনক। আর দ্বিতীয়ত অফিসের পশ্চিম পাশে যে ভেন্টিলেটর ভাঙ্গা হয়েছে সেই ভাংচুরের আলামত নিচে পড়ে থাকার কথা ছিল। কিন্তু এরকম কোনোকিছু আমরা পাইনি এবং সেই ভাঙ্গা অংশ দিয়ে মানুষ ঢোকার তেমন সুযোগ নেই। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।

ব্যাংকের কাষ্টমার সার্ভিস অফিসার (সিএসও) কেয়া খাতুন জানান, বুধবার দিনভর ব্যাংকের লেনদেন শেষে নিজ কক্ষের ড্রয়ারে ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা রাখেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে অফিসের নিজ কক্ষে গিয়ে দেখেন টেবিলের ড্রয়ার ভাঙ্গা, টাকাও নেই। এমনকি সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্কও চুরি হয়ে গেছে। অফিস খরচ ও গ্রাহকের প্রয়োজনে তিনি ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ড্রয়ারে তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন।

পোস্ট অফিসের নৈশপ্রহরী আলাউদ্দিন জানান, তিনি রাত ২টা পর্যন্ত জেগে ছিলেন। পরে অফিসের মধ্যে ঘুমিয়ে পরেন। রাতে কোন শব্দ পাননি তিনি। সকালে ঝাড়–দার ওই অফিস পরিস্কার করতে গিয়ে রুম এলোমেলো দেখে বিষয়টি সবাইকে জানান।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত পোস্ট মাষ্টার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি সকালে অফিসে এসে শুনি ব্যাংক এশিয়ার প্রতিনিধির কক্ষ থেকে টাকা চুরি গেছে। বিষয়টি গুরুদাসপুর থানায় অবহিত করেছি। প্রকৃত অপরাধী সামনে আসুক এটাই আমি চাই। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

রাজশাহীর সময় /এএইচ