১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৮:০৭:৪৮ অপরাহ্ন


রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে লালনশাহ মঞ্চে মেলায় দর্শনার্থীদের ঢল
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৫-২০২২
রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে লালনশাহ মঞ্চে মেলায় দর্শনার্থীদের ঢল রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে লালনশাহ মঞ্চে মেলায় দর্শনার্থীদের ঢল


নগরীর আনন্দ মেলায় বিকেল গড়ালেই নামছে মেলা ও বিনোদনপ্রিয় মানুষের ঢল। করোনাকালিন অবসাদ কাটিয়ে উঠতে নগরীর লালন শাহ মঞ্চের নিচে আয়োজন করা হয়েছে মাসব্যাপী আনন্দ মেলা।

মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকাল ৪টায় সরেজমিনে দেখা গেছে মেলার জমজমাট চিত্র। মেলা মানেই চিৎকার চেঁচামেচি আর আনন্দ হই-হুল্লোড়। বিনোদনপ্রেমীদের কেউ সার্কাস, দোলনা, চরকি, ভূতের বাড়ি, সুইমিং উপভোগ করছেন। কেউ কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন আবার কেউ আবার পরিবার ও বন্ধু বান্ধবের সাথে ফাস্ট ফুড, মুড়ি মাখা, বিভিন্ন ধরনের আচার, আইসক্রিম খাচ্ছেন।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, খুলনা, যশোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সার্কাস এবং দোকানিরা এসেছেন। এছাড়াও মেলায় দর্শনার্থীদের মাতিয়ে রাখতে সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, শরিয়তপুর, সাতক্ষীরা থেকে এসেছেন মতিউর রহমান , ইমন সরকার , আরিফ সরকার, বাবু সরকার, আব্দুর রহিম, আশু পালোয়ান সহ আরও অনেকে।

তাঁদের সার্কাসের মধ্যে থাকছে জীবিত জিওল মাছ গিলে আবার তা জীবিত পেট থেকে বের করা, বডি ভাংচুর , ফুটবল খেলা, লাটিম খেলা, রিং ড্যান্স, জাগার বোর্ড, বর্ষা খেলা, দোলনা খেলাসহ আরও খেলা, দর্শকদের হাঁসাতে জোকারদের কীঁর্তিকলাপ, ভয় দেখাতে ভূতের বাড়ি তো থাকছেই।সার্কাসের বিরতিতে যাতে কেউ কোলাহলে বিরক্ত বোধ না করে সেজন্য হিন্দি, বাংলাসহ মনের মাধুরী দিয়ে মিউজিকের সাথে গান গাইছেন বগুড়া শেরপুর থেকে আসা রঞ্জিত কুমার সরকার।

মেলার ভূতের বাড়ি আসা রাকিব বলেন, অনেক মজা করলাম মেলায়। ভূতের শো দেখে গা শিয়রে উঠেছে। টিকিট নামমাত্র ১০ টাকা। আর অন্যান্য মেলায় দেখেছি ৫০ থেকে ১০০ টাকা ছাড়া কোন শো বা দোলনা চড়া সম্ভব হয় না। এই মেলায় মাত্র ৩০ টাকায় সব বিনোদন পাওয়া যাচ্ছে। সার্কাস দেখতেও খরচ কম। চেয়ারে বসলে ১০০ টাকা, গ্যালারিতে বসলে ৮০ টাকা টিকিট নিতে হচ্ছে।

অন্যদিকে দোকানিদের চলছে হরদম বেচাকেনা। দোকানগুলোতে খেলনার মধ্যে টেডি বিয়ার ১২০ থেকে ১ হাজার টাকা, হরেক রকমের ও হরেক দামের মেয়েদের পোশাক , জুতা, রান্নার বাসন কোসন , ছেলেদের টি শার্ট, মাটির তৈরি ৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে তৈজসপত্র বিক্রি হতে দেখা গেছে।রুপন্তি নামের এক দর্শনার্থী বলেন, মেলাটি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। মেলা ঘুরলাম। কেনাকাটা করছি। অসাধারণ পোশাক কাতোয়ান মাত্র ২৫০ টাকা। এখানে ওড়নাও মাত্র ১০০ টাকা। জুতার দোকানে ১৫০ থেকে ভালো মানের জুতা দেখলাম ৬৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর বেশিরভাগ পণ্য সামগ্রী ৩০ টাকা থেকে ১৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

মেলার আয়োজন করেন মাহাবুব আলম খান ববিন, শাহিনুল্লাহ শাহিন, গোলাম রসুল আপেল, বেনজির আহমেদ, রাসেদুল ইসলাম মিলন, আশাদুজ্জামান ইমন। তারা জানান , ১৯ মে এই আনন্দ মেলার শুরু করা হয়। এই মেলা ১৯ জুন পর্যন্ত এবং প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার মেলাপ্রেমি ভিড় করেন। ছুটির দিন অথবা রাজশাহীতে পরীক্ষার দিনগুলোতে কেনাকাটা ও মেলা উপভোগ করার জন্য দর্শনার্থীরা বেশি ভিড় করছেন। সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি জমজমাট হবে বলে তারা আশা ব্যক্ত করেন। তারা আরও জানান, গরিব অসহায়দের জন্য এই মেলায় কোনো টিকিট খরচ দিতে হবে না।

রাজশাহীর সময়/এইচ