২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৮:৫৮:৫৫ অপরাহ্ন


মামলার তদন্তে গিয়ে বাদীর মেয়েকে ধর্ষণ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৫-২০২২
মামলার তদন্তে গিয়ে বাদীর মেয়েকে ধর্ষণ ফাইল ফটো


জমি নিয়ে মারামারির একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বাদীর মেয়েকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক এসআইর বিরুদ্ধে। গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই এসআই বর্তমানে রংপুরের মিঠাপুকুর থানায় কর্মরত। এ ব্যাপারে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করেন ওই তরুণী। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গত বুধবার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় আদালতে।

বাদী জানান, তার মা তাদের একটি জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় গত বছরের ২১ অক্টোবর মামলা করেন। সেই মামলার তদন্তের জন্য এসআই শামছুল হক তাঁদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এভাবে একদিন জোর করে ঘরে প্রবেশ করে তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। তিনি অস্বীকার করলে খুন-জখম, মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং গলা টিপে ধরে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে একই কৌশলে তাঁকে আরও ধর্ষণ করেন শামছুল। ফুলছড়ি থানা এ বিষয়ে মামলা না নেওয়ায় আদালতে মামলা করেন। তরুণী অভিযোগ করেন, তিনি কোনো বিচার পাচ্ছেন না। সব সময় ভয়ে থাকছেন। সর্বশেষ গত বছরের ১২ নভেম্বর তরুণীর খালার বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণ করেন এসআই।

গত বছরের ২৪ অক্টোবরের সেই ঘটনার বিষয়ে তরুণীর মা বলেন, 'রাত সাড়ে ১০টার দিকে এসআই শামছুল হক বাড়িতে এসে গেটে টোকা দেয়। গেট খুলে দিলে বলে- আপনে এখানে দাঁড়ান; আপনার মেয়ের সাথে কথা আছে। আমি বলি, কী কথা- আমার সামনে কন। পরে ঘরের ভিতর ঢুকে দরজা বন্ধ করে মেয়েকে মারধর এবং ধর্ষণ করে।' তিনি এ ঘটনায় এসআইর ফাঁসি চান।

তরুণী স্বামীর সঙ্গে রাগ করে এসে মায়ের কাছে থাকছিলেন।

মোবাইল ফোনে এসআই শামছুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ব্যস্ত আছি, পরে ফোন করছি। তারপর বারবার চেষ্টা করলেও ফোন ধরেননি তিনি।

পিবিআইর এসআই জুলফিকার আলী ভুট্টু বলেন, মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। প্রায় তিন মাস পর গত বুধবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।অভিযোগপত্রে বলা হয়, টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য চাপ দেয় স্থানীয় কয়েকজন দালাল ও এসআই শামছুলের লোকজন। এভাবে মামলা করার ক্ষেত্রে সময় ক্ষেপণ করা হয়। এ ছাড়া তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি শামছুল জানতে পারলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুকৌশলে ওষুধ খাওয়ান। এর পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর গর্ভপাত ঘটে। অসুস্থ হয়ে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাও নেন তরুণী।

এ প্রসঙ্গে ফুলছড়ি থানার ওসি কাওছার আলী বলেন, আমার থানায় তরুণীর মা জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় শামছুল হক তদন্ত করে আসামি ধরে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। তদন্তকালে শামছুল বাদীর পরিবারের সঙ্গে কী করেছে, তা জানি না। তিনি দাবি করেন, তরুণী এসআইর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেননি।

রাজশাহীর সময়/জেড