নওগাঁর সাপাহারে একদিন পরে আবারও ঝড়ের তান্ডবে টিনের চালা, কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা সহ কাঁচা আমের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে। আগের দিনের ঝড়ে এ উপজেলায় অপরিপক্ব কাঁচা আমের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানানাগেছে।
শনিবার দিনগত রাত ৩ টার দিকে এ উপজেলায় ব্যপকহারে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। এতে করে বৃষ্টিতে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ঝড়ের কারনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পরে, টিনের চালা উড়ে যায় ডালপালা ভেঙ্গে গাছপালা উপড়ে পরে। এসময় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অপরিপক্ব কাঁচা আমের। বাগান মালিকদের দাবী, উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগানের ন্যাংড়া, ফজলী, আম্রপালী সহ বিভিন্ন জাতের অন্তত ১৫-২০ ভাগ আম ঝড়ে পড়ে গেছে। এদিকে ঝড়ে পরা আম অপরিপক্ব হাওয়ায় নাম মাত্র দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
সরেজমিনে শনিবার সকালে উপজেলা সদরের আম বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪ থেকে ৫ টি আড়ৎতে ঝড়ে পড়া আম কেনা-বেচার ধুম পড়েছে। তবে ঝড়ে পড়া আম অপরিপক্ব হওয়ায় দেড় থেকে দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দিন আড়ৎগুলোতে দুই থেকে তিন হাজার মন আম কেনা হয়েছে বলে জানান আড়ৎ মালিকরা। বাজারে আম বিক্রি করতে আসা কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, দুইদিনের ঝড়ে বাগানের প্রায় অর্ধেকের মতো আম পড়ে গেছে। ঝড়ে পড়া আমগুলো ৬০-১০০ টাকা মন হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে বাগান মালিকরা প্রায় দিশেহারা হয়েছে পড়েছে।
আম বাগানী শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার ৭০ বিঘা জমিতে দুই দিনে প্রায় ৩৫০ মন আম পড়ে গেছে। বর্তমানে বাগানে যে আম আছে এতে করে জমি ইজারার টকা সার বিষ খরচের টাকা উঠবে কিনা এনিয়ে খুবই দুশ্চিতায় আছি।
সাপাহার বাজার আম ব্যবসায়ী আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি কার্ত্তিক সাহা বলেন, গত দুই দিনের ঝড়ে আমের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার আড়তে এক দিনে ৫-৬ শত মন ঝড়ে পড়া কাঁচা আম কিনেছি। ঝড়ে পড়া আমগুলো অপরিপক্ব এই আম শুধু মাত্র তরকারীতে এবং আচার তৈরিতে ব্যবহার করা যাবে। এর চাহিদাও কম একারনে দামও কম।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মুনিরুজ্জামান টকি বলেন, ঝড়ে পড়ে যাওয়া আম বাগান থেকে তুলে বাজারে বিক্রি করছে বাগানীরা একারনে সঠিক ক্ষতির পরিমান বুঝা যাচ্ছেনা। তবে ঝড়ের কারনে ৫ ভাগের মত আম পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগের দিনের ঝড়ে ২ ভাগের মত আম পড়েছে।