২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০২:৪৩:৩২ পূর্বাহ্ন


তীব্র গরমের মধ্যেই ঘাম ঝরানো অনুশীলনে ব্যস্ত তামিম-সাকিবরা
ক্রিড়া ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৫-২০২২
তীব্র গরমের মধ্যেই ঘাম ঝরানো অনুশীলনে ব্যস্ত তামিম-সাকিবরা তীব্র গরমের মধ্যেই ঘাম ঝরানো অনুশীলনে ব্যস্ত তামিম-সাকিবরা


কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে সোমবার (১৬ মে) সকালে শুরু হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের প্রথম দিনের ক্যাম্প। তীব্র গরমের মধ্যেই ঘাম ঝরানো অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন জুনিয়র তামিম, সাকিব, আকবর ও আশিকুর জামানরা। বোলিং কোচ চম্পকা রামানায়েকে এখনো যোগ না দিলেও এই ক্যাম্পে গুরুত্ব পাচ্ছে ফিটনেস ও বোলিং ট্রেনিং। ক্রিকেটাররা আশা করছেন, দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্পে সব ফরম্যাটে নিজেদের তৈরি করতে পারবেন তারা।

সোমবার সকালে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে দেখা যায় তীব্র গরমের মাঝে মাঠে হাজির তামিম, সাকিব, আকবরসহ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ২৫ জন ক্রিকেটার। সবাই ঘাম ঝরাতে প্রথমে শুরু করেন ফুটবল অনুশীলন, যা চলে আধ ঘণ্টা পর্যন্ত। এরপর মনোযোগ দিয়ে ক্রিকেটাররা ১৫ মিনিট শুনেন ফিটনেস ট্রেইনারের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য।

এরপর ১৫ মিনিট ধরে চলে রার্নিং সেশন। সবমিলিয়ে কক্সবাজারে ক্যাম্পের প্রথম দিন দেড় ঘণ্টার বেশি অনুশীলন করে এইচপি ইউনিটের ক্রিকেটাররা, যা পুরোটা সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করেন কোচিং স্টাফরা। এবার ক্রিকেটারদের ক্যাম্প হচ্ছে প্রায় চার মাস মেয়াদি। যার মধ্যে প্রথম দফায় কক্সবাজারে হবে ফিটনেস ও বোলিং ক্যাম্প। এরপর সিলেটে হবে স্কিল ক্যাম্প। তবে ক্রিকেটারদের জন্য কক্সবাজার ক্যাম্পটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলছেন ফিটনেস ট্রেইনার।

যদিও এখনো ক্যাম্পে যোগ দেননি বোলিং কোচ চম্পকা রামানায়েকে। হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ফিটনেস ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার বলেন,  ‘প্রতি বছর একটা প্রোগাম থাকে এইচপি ক্যাম্প হবে যা ৩ থেকে ৪ মাস। ক্যাম্পে প্রথমে খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে কাজ করা হয়।  যেখানে রার্নিং এবং জিম সেশনসহ আরও কিছু ভেরিয়েশন থাকবে। সেক্ষেত্রে আমরা হয়তো বিভিন্ন জায়গা বেচে নিব। কখনো মাঠ, কখনো সাগর, কখনো পাহাড় ও কখনো জিম। যে সময় যে জায়গা প্রয়োজন হবে তখন সেই জায়গায় ক্রিকেটারদের ট্রেনিং করানো হবে।’

ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার আরও বলেন, ‘কক্সবাজারে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ও বোলিং স্কীল নিয়ে কাজ করা হবে। সেটা বোলিং কোচ চম্পকা রামানায়েকে ৫-৭ দিন পর আসলে স্কিল ক্যাম্পটা শুরু হবে।’

এদিকে দীর্ঘমেয়াদি এই ক্যাম্পকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিব, আশিকুর, তামিম, সাকিব ও আকবরা। তবে নিজেদের সব ফরম্যাটে তৈরি করতে এই ক্যাম্প অপরিহার্য মনে করছেন এইচপি ইউনিটে থাকা ক্রিকেটাররা।

বোলার তানজিম হাসান সাকিব বলেন, ‘কক্সবাজারে মূলত ফিটনেস ক্যাম্পটা হচ্ছে। ফিটনেসের ওপর মূল ফোকাসটা রাখছি। যেহেতু এটা দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্প, এখানে ফিটনেস নিয়ে অনেক বেশি কাজ হবে।’

বোলার মোহাম্মদ আশিকুর জামান বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি এই ক্যাম্পে ফিটনেস বলেন বা বোলিং বলেন, সব জায়গায় নিজের উন্নতি আশা করছি। যাতে সব ফরম্যাটে নিজেকে তৈরি করতে পারি।’

কক্সবাজারে শুরু হওয়া এই ক্যাম্প চলবে আগামী পহেলা জুন পর্যন্ত। এরপর স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটাররা যাবেন সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। এই ক্যাম্পে ২৫ জনের দলে পেসারই রয়েছেন ১৪ জন, একমাত্র উইকেটরক্ষক হিসেবে রয়েছেন আকবর আলী। কক্সবাজারে ১৬ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত চলবে ফিটনেস ও বোলিং ক্যাম্প। পরদিন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত সিলেটে হবে স্কিল ক্যাম্প। আর ১৬ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও ঢাকায় স্কিল ক্যাম্পের পাশাপাশি হবে অনুশীলন ম্যাচ।