২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৪৯:২০ পূর্বাহ্ন


ইউক্রেনে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে রুশ সেনারা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৫-২০২২
ইউক্রেনে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে রুশ সেনারা ইউক্রেনে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে রুশ সেনারা


রবিবার ন্যাটোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে ‘ওপেন এন্ডেড মিলিটারি সাপোর্ট ফোর ইউক্রেন । অর্থাৎ ন্যাটো বোঝাতে চেয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে  তারা সবরকম সাহায্য করবে। এর মধ্যে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ ফিনল্যান্ড যোগ দিয়েছে ন্যাটোয়। সুইডেনের শাসক দল বলেছে, তারাও ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন জানাবে।

ফিনল্যান্ড কয়েক দশক ধরে জোটনিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে চলছিল। সেই অবস্থান থেকে সরে এসে তারা ন্যাটোয় যোগ দেওয়ায় ক্রুদ্ধ হয়েছে রাশিয়া। তারা ঘোষণা করেছে, তারা ইউক্রেনের পূর্বে ও পশ্চিমে বিমানহানা চালিয়ে যাবে। কিন্তু পশ্চিমী দেশগুলির গোয়েন্দাদের কাছে খবর, ইউক্রেনের পূর্বে আপাতত আর আক্রমণ নাও করতে পারে রাশিয়া। কারণ সেখানে তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে রুশ সেনা।   

সম্প্রতি বার্লিনে ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা বৈঠকে বসেন। সেখানে জার্মানির বিদেশমন্ত্রী অ্যান্নালেনা বাইরবক ঘোষণা, করেন, ইউক্রেনের আত্মরক্ষার জন্য যা প্রয়োজন হবে সবই দেওয়া হবে। ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধে জিততে পারে। ইউক্রেনীয়রা সাহসের সঙ্গে তাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করছে।”

ফিনল্যান্ড ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালিনা অ্যান্ডারসন বলেন, “আমাদের দেশের নিরাপত্তার জন্যই ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার আবেদন জানাব।” স্টোলটেনবার্গ বলেন, যে দেশগুলি ন্যাটোর সদস্য হবে, তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেবে এই জোট। ওই অঞ্চলে ন্যাটোর সেনা সমাবেশও বাড়ানো হবে।

মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, “ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির বেশিরভাগই চায়, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ওই জোটের সদস্যপদ দেওয়া হোক। যদিও তুরস্কের কিছু আপত্তি রয়েছে।” তুরস্কের অভিযোগ, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড কুর্দ বিদ্রোহীদের আশ্রয় দিয়েছে। যদিও তারা ওই দুই দেশকে ন্যাটোর সদস্যপদ দিলে আপত্তি করবে না।