২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:১৩:৪৩ পূর্বাহ্ন


চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার পথচলা
বিনোদন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৫-২০২২
চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার পথচলা পূর্ণিমা। ফাইল ফটো


পূর্ণিমার চাঁদের মত উজ্জ্বল একজন তিনি। অভিনয় ও সৌন্দর্যে দিয়ে মাতিয়ে রেখেছেন বছরের পর বছর। শুরুটা ক্লাস নাইনে পড়াকালীন সময়ে। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করেন জাকির হোসেন রাজুর ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মাধ্যমে। ধ্রুবতারার মত আগমন। পূর্ণিমা যে আলো ছাড়াবেন তা বুঝে গিয়েছিলেন সবাই। একে একে অভিনয় করলেন, ‌'মেঘলা আকাশ', 'শিকারী', 'স্বামী-স্ত্রী যুদ্ধ', 'মেঘের পর মেঘ', 'হৃদয়ের কথা' সিনেমায়। অভিনয় করে হয়ে স্থায়ী আসন করে নেন বাংলা সিনেমার দর্শকদের মনে।

২০০৩ সালে মুক্তি পায় তার সব থেকে সফল ছবি মতিউর রহমান পানু পরিচালিত ‘মনের মাঝে তুমি’। এটি বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় বাংলাদেশের সব থেকে সফল ছবির মধ্যে অন্যতম। ২০০৪ সালে রাবেয়া খাতুনের উপন্যাস ‘মেঘের পরে মেঘ’ অবলম্বনে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছায়াছবি মেঘের পরে মেঘ ছবিতে অভিনয় করেন। এছাড়া কাজী নজরুল ইসলামের গল্প রাক্ষুসী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র রাক্ষুসীতেও অন্যতম কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০০৫ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শাস্তি গল্প অবলম্বনে নির্মিত শাস্তি চলচ্চিত্র চন্দরা চরিত্রে অভিনয় করেন।

২০০৬ সালে বিশ্বকবির শুভাসিনী গল্প অবলম্বনে নির্মিত শুভা চলচ্চিত্রে তিনি একটি বোবা চরিত্রে অভিনয় করেন। একই বছর তার অন্যতম বাণিজ্যিক সফল ছায়াছবি হৃদয়ের কথা মুক্তি পায় এবং এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৮ সালে তার অভিনীত আরেকটি বাণিজ্যিক সফল ছায়াছবি আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা মুক্তি পায়। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার-এর তারকা জরিপ ও সমালোচক শাখায় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী মনোনীত হন।


আরও পড়ুন: তারেক আনামকে নিয়ে সিয়ামের আবেগঘন পোস্ট


২০১০ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না’ ছায়াছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১১ সালে চিত্রনায়ক আলমগীর প্রযোজিত শাহ আলম কিরণ পরিচালিত মাটির ঠিকানা মুক্তি পায়। ছায়াছবিটি বাণিজ্যিক সফলতা লাভ করে। পাশাপাশি মুক্তি পায় আরেক চিত্রনায়ক সোহেল রানা প্রযোজিত আহমেদ নাসির পরিচালিত ‘মায়ের জন্য পাগল’। এটিও বাণিজ্যিক সফলতা লাভ করে। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার’ চলচ্চিত্রটি বাণিজ্যিক সফলতা লাভ করে। ২০১৪ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। এতে পূর্ণিমার বিপরীতে ছিলেন রিয়াজ। কন্যা সন্তান জন্মানোর পর তিনি অভিনয় থেকে বিরতি নেন এবং ২০১৬ সালে ফিরে আসেন প্রতিবন্ধীদের নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘বন্ধ দরজা’ দিয়ে।

চলচ্চিত্রে পূর্ণিমার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় রিয়াজের বিপরীতে। রিয়াজের বিপরীতেই ২৫টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পূর্ণিমা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি টিভি নাটকেও কাজ করেছেন। ২০১১ সালে বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে তার ছোটগল্প ল্যাবরেটরি অবলম্বনে মাহবুবা ইসলাম সুমির পরিচালনায় ল্যাবরেটরি নাটকে সেজুতি চরিত্রে অভিনয় করেন। বছরের পর বছর সব দর্শক ও অনুরাগীদের চোখে চির সবুজ এই অভিনেত্রী।

রাজশাহীর সময়/এএইচ