১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:২৮:৫০ পূর্বাহ্ন


মুক্তিযুদ্ধ ও বৃক্ষরোপন সম্পর্কে প্রচারে বগুড়ার এক তরুণের পদযাত্রা
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৫-২০২২
মুক্তিযুদ্ধ ও বৃক্ষরোপন সম্পর্কে প্রচারে বগুড়ার এক তরুণের পদযাত্রা মুক্তিযুদ্ধ ও বৃক্ষরোপন সম্পর্কে প্রচারে বগুড়ার এক তরুণের পদযাত্রা


বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানার কবির হোসেন (২৫) নামের এক তরুণ পাঁয়ে হেঁটে হিলি স্থলবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে গত ০৬ মে ২০২২ তারিখে জামালপুর জেলার ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর পৌছেন। তরুণ সমাজের সামনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ তুলে ধরতে তার এই পদযাত্রা। পাশাপাশি তিনি পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গাছের গুরুত্ব প্রচার করেন ও বৃক্ষরোপনের আহ্বান জানান। 

তিনি দিনাজপুর জেলার হিলি (জিরোপয়েন্ট, বিরামপুর) থেকে ঘোড়াঘাট, গাইবান্ধার বালাসী ঘাট, জামালপুর জেলার বাহাদুরবাদ ঘাট হয়ে ধানুয়া কামালপুর স্থরবন্দরে পৌছেন। এই পথে তাকে শত কিলোমিটারে বেশি হাঁটতে হয়েছে। যাত্রাপথে তিনি আশেপাশের ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করেন। এই পথের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান হিলি রেলস্টেশন, সম্মুখ সমর স্মৃতিসৌধ, ঐতিহাসিক সূরা মসজিদ (ঘোড়াঘাট), ফ্রেন্ডশীপ সেন্টার (গাইবান্ধা), বালাসী ঘাট, বাহাদুরবাদ ঘাট, ধানুয়া কামালপুর স্মৃতিসৌধ ও স্থলবন্দর ঘুরে দেখেন।

এই পথে পদযাত্রা সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভূ-চিত্র ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এই রুটের গুরুত্ব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি এবং একই সঙ্গে এটি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্মরণীয় একটি স্থান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে হিলির যুদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানকার যুদ্ধে ব্যবহৃত সমর শিক্ষা বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর সিলেবাসের অর্ন্তভূক্ত। একই সঙ্গে এই রুটে ঐতিহাসিক সূরা মসজিদ ও সুলতানী আমলে আগত কাকশাল ও পাঠানদের চেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত সমৃদ্ধ শালী জনপদ ঘোড়াশাল উপজেলা। ১৯৩৮ সালে ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলায় তিস্তামুখ ঘাট ও জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাটে যমুনা নদীতে রেল ফেরির সার্ভিস চালু করা হয়। ১৯৯০ সালের পর যমুনা নদীর নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ফেরি সার্ভিসটি তিস্তামুখঘাট থেকে বালাসীঘাটে স্থানান্তর করা হয়। অপরদিকে ধানুয়া কামালপুরের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জেড ফোর্সের প্রথম অপারেশন সম্পন্ন হয় এখানে। এই যুদ্ধে মেজর জিয়া (মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান) অংশ গ্রহণ করেছিলেন।

বাংলাদেশের তরুণদেরকে তিনি মাদক ছেড়ে আলোর পথে আসার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি ভ্রমণ প্রিয়, ট্রেকার, হাইকার, সাইক্লিস্ট ও বাইকারদেরকে এই পথে ভ্রমণের আহ্বান জানিয়েছেন।