২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৯:২২:৩০ অপরাহ্ন


‘আস্থা’ প্রকল্পে চাকরির নামে ৪ কোটি টাকা নিয়ে ‍উধাও
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৫-২০২২
‘আস্থা’ প্রকল্পে চাকরির নামে ৪ কোটি টাকা নিয়ে ‍উধাও ফাইল ফটো


ঢাকার গোল্ডেন সার্ভিস লিমিটেডের ‘আস্থা’ প্রকল্পে চাকরি নিয়ে প্রতারণার শিকার চুয়াডাঙ্গার দুই শতাধিক নারী-পুরুষ। জামানত ও বেতনের প্রায় ৪ কোটি টাকা পরিশোধ না করেই গা-ঢাকা দিয়েছে চক্রের সবাই।

জেলার সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে মোটা অঙ্কের বেতনের লোভ দেখিয়ে নিয়োগ দেয় প্রকল্প পরিচালকের সহযোগিতায় সাবেক সিভিল সার্জন ও তার সহযোগীরা। বর্তমান সিভিল সার্জন বলছেন, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ ভুয়া।

২০২১ সালের জুলাই মাসে করোনাকালীন সময়ে চুয়াডাঙ্গার চিকিৎসা কার্যক্রম সচল রাখতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার গোল্ডেন সার্ভিস লিমিটেডের 'আস্থা' প্রকল্পের আওতায় জনবল দিতে বলা হয় সিভিল সার্জনকে। এ জন্য আস্থা প্রকল্পের পরিচালক জাহিদ হাসান সাবেক সিভিল সার্জন ডা. এ. এস. এম মারুফ হাসানকে একটি চিঠি দেন।

মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পর প্রকল্পের আওতায় সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে ২০৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয় বিভিন্ন পদে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সাবেক সিভিল সার্জনের নির্দেশে নিয়োগ বাণিজ্যের নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করেন তার অফিসের দেলোয়ার হোসেন, নুর আলম, রোকেয়া ও ড্রাইভার দানেশসহ অন্যরা।

রকিব উদ্দিন নামে এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে জানান, তারা পদ অনুযায়ী এক লাখ টাকা থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। কিন্তু বেতন ও ভাতার প্রায় ৪ কোটি পরিশোধ না করেই গা-ঢাকা দেয়।

নিয়োগ বিষয়ে অফিসের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেলিমা আখতার।

তিনি বলেন, এর সঙ্গে কেউ যদি জড়িত থাকে বা আমরা কারও কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাই তাহলে আমরা অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

আস্থা প্রকল্পে নিয়োগকৃতরা বেতন পায়নি, আর প্রকল্পটি ভুয়া বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. মো. সাজ্জাৎ হাসান।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসে ১২৩ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯ জন, দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ জন এবং জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিকে ৪৩ জনকে নিয়োগ দেয় 'আস্থা' প্রকল্পে।

রাজশাহীর সময়/এইচ