১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৫৯:১৮ পূর্বাহ্ন


চারঘাটে বৃদ্ধা হত্যার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হত্যার মূল আসামী গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ
আতিকুর রহমান চারঘাট প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৪-২০২২
চারঘাটে বৃদ্ধা হত্যার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হত্যার মূল আসামী গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ চারঘাটে বৃদ্ধা হত্যার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হত্যার মূল আসামী গ্রেফতার করতে পারে পুলিশ


রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের কানজগাড়ী গ্রামের এক ৬৯ বয়সের বৃদ্ধার হত্যার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার করতে পারেনি হত্যার আসামী। পরিবারসহ নিহতের সন্তানদের দাবি চারঘাট মডেল থানা পুলিশ হত্যার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে না।

হত্যার সূত্রপাত গত ২২ এপ্রিল বিকালে কানজগাড়ী মাড়িয়া মৌজার বিলের পাটের জমিতে। ওই দিন আসরের নামাজের পরে পাটের জমিতে কিটনাশক দেয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয় পল্লী চিকিৎসক আব্দুল মান্নান (৬৯)।

কিন্তু ইফতার পেরিয়ে এশার নামাজ শেষ হলেও পল্লী চিকিৎসক বাড়ি ফিরেনি। পরে নিহতের স্ত্রী মারজিনা বেগম, প্রতিবেশি জিয়ারুল, নাছির, মিলনসহ অনেকে তাকে খুঁজতে বের হয়। এক পযার্য়ে পাটের জমিতে পল্লী চিকিৎসকের উলঙ্গ মৃত দেহ নিশ্চিত করেন তারা। অজ্ঞাত কে বা কাহারা দলবদ্ধ হয়ে পল্লী চিকিৎসক আব্দুল মান্নানকে ওই তারিখ বিকেলে গলা কেটে হত্যা করেছে, এমনটাই পরিবারের দাবি।

ঘটনার খবর পেয়ে ২২ তারিখ রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। হত্যার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ২ জনকে আটক করে থানা পুলিশ। আটককৃত ব্যাক্তিরা কানজগাড়ী গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রবিউল এবং আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে লিটন। তবে গত ৩-৪ বছর পূর্বে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চাঁদ একটি শালিসের মাধ্যমে উভয়ের বিবাদ নিস্পত্তি করে দিয়েছিলেন। বর্তমান পল্লী চিকিৎসককে হত্যার সাথে রবিউল ও লিটনের জড়িত থাকা নিয়ে তাদের কোন অভিযোগ নেই।

চারঘাট থানা পুলিশ হত্যার মামলাটি নিয়ে গড়মিশি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন নিহত’র পরিবার। এই মামলার দ্রুত সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অভিযুক্তদের আটক করার জোর দাবি। কিন্ত নিদোর্শ ব্যাক্তি যেন মামলার শিকার না হয় বলে গনমাধ্যমকে জানান, নিহতের ছেলে মাহিম হোসেন লিমন, মাইমুল হোসেন লিপন, মেহেদি হাসান লিখন, মাহমুদুল হাসান সুমন ও নিহতে স্ত্রী মারজিনা বেগম।

৬৯ বয়সের বৃদ্ধার হত্যা মামালার কোন তথ্য দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন এসআই মাহমুদুন নবী। তবে তিনি জানান, উর্ধতন কর্মকর্তা সকল বিষয়ে তদারকি করছেন। খুনের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আটককের চেষ্ট অব্যাহত রয়েছে বলে জানান, চারঘাট মডেল থানার

ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) জাহাঙ্গির আলম। খুনের ঘটনাটি রহস্য জনক। পুলিশ খুনিকে আটকের জন্য কাজ করছে। এই মামলা নিয়ে কোন গড়মিশির সুযোগ নেই বলে জানান, চারঘাট সার্কেল সহকারি পুলিশ সুপার প্রণব কুমার।

রাজশাহীর সময় / জি আর