২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:২৮:৩৪ অপরাহ্ন


গুরুদাসপুরে বিপন্ন প্রজাতির হনুমান দেখতে কৌতুহলী মানুষের ভীড়
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০১-২০২২
গুরুদাসপুরে বিপন্ন প্রজাতির হনুমান দেখতে কৌতুহলী মানুষের ভীড় গুরুদাসপুরে বিপন্ন প্রজাতির হনুমান দেখতে কৌতুহলী মানুষের ভীড়


ব্রীজের রেটিংয়ে বিষন্ন মনে বসে আছে হনুমানটি। কৌতুহলি জনতার ভীড় বাড়তেই বিরক্ত হয়ে মুখে ভেংচি কেটে পাশের গাছে উঠে যায়। উৎসুক মানুষ এদের কলা, পাউরুটি, বিস্কুটসহ নানান খাবার খেতে দিচ্ছেন। তবে মানুষের আচরনে বিরক্ত হয়ে হনুমানটি ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করে ব্রীজের রেলিং, বড় গাছে, ঘরের চালে লাফিয়ে বেড়াতে দেখা গেছে। নাটোরের গুরুদাসপুরে এভাবেই লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিপন্ন প্রজাতির দলছুট একটি মুখপোড়া হনুমান।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে পৌরসদরের চাঁচকৈড় খলিফাপাড়া নতুনব্রীজ এলাকায় কালোমুখো ওই হনুমানটিকে দেখা যায়। হনুমানটি যেখানে যাচ্ছে সেখানেই মানুষের কৌতুহল ও ভীড় বাড়ছে। 

খলিফাপাড়ার ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির তপু বলেন, চাঁচকৈড় একটি বানিজ্যিক এলাকা। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কৃষিসহ বিভিন্ন পন্য আমদানী রপ্তানী হয়ে থাকে। খাবারের জন্য ফল কিংবা সবজির ট্রাকে উঠে হনুমানটি এখানে এসেছে বলে ধারনা তার। স্থানীয় বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আলী আকবর বলেন, বাংলাদেশে বিপন্ন তালিকায় স্থান পাওয়া প্রাণীদের একটি কালোমুখো হনুমান। এরা দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করা বৃক্ষচারী শান্তিপ্রিয় প্রাণী। চলাফেরা, ঘুম, খাবার সংগ্রহ, প্রজনন, খেলাধুলা, বিশ্রাম সবকিছু তারা গাছে সম্পন্ন করে। মূলত গাছের পাতা খেয়ে জীবন ধারণ করে বলে এদের পাতা বানরও বলা হয়। বনভূমি হ্রাস পাওয়ায় এরা অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। পাশাপাশি দলছুট হয়ে পড়ায় এদের বংশবৃদ্ধিও হ্রাস পাচ্ছে।

উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, দলছুট হয়ে লোকালয়ে আসা হনুমানের কোনো ক্ষতি বা বিরক্ত না করতে সবার প্রতি অনুরোধ তার। যদি লোকালয়ে হনুমানের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে এটি বনাঞ্চলে ছেড়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা বলেন, মুখপোড়া হনুমান চাঁচকৈড় এলাকায় আসার খবর তিনি পেয়েছেন। এ বিষয়ে খোঁজখবর রাখার জন্য বন কর্মকর্তাকেও অবহিত করা হয়েছে।

রাজশাহীর সময় /এএইচ