জয়পুরহাটে ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া আর গ্যাসে বিঘার পর বিঘা জমির ধান পুড়ে নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদের তদন্ত কমিটি তার প্রমাণও পেয়েছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ইটভাটা মালিক।
চোখের সামনে কষ্টে বোনা ফসল নষ্ট হতে দেখে দিশেহারা পাঁচবিবি উপজেলার সোনাপুর গ্রামের কৃষক আবদুর রাজ্জাক। এবার ঋণ করে ১১ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেন তিনি। স্বপ্ন দেখছিলেন ঈদের পর ধান বিক্রি করে লাভের মুখ দেখবেন। কিন্তু সে স্বপ্নে গুড়েবালি দেয় স্থানীয় বিবিসি নামে একটি ইটভাটা।
কৃষকদের অভিযোগ, ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় আশপাশের জমির ফসল পুড়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬০ জন কৃষকের অন্তত ২০০ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আবদুর রাজ্জাক বলেন, কষ্ট করে ১১ বিঘা আবাদ করেছি। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় আমার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। কীভাবে ঋণ পরিশোধ করব বুঝতে পারছি না।
এ ঘটনায় স্থানীয় কৃষি বিভাগে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরমান হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি। কৃষি বিভাগের সঙ্গে কথা হয়েছে। সেখানে ধানের যে ক্ষতি বিষয় এসেছে সেটা যদি ইটভাটার জন্য হয়ে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইটভাটা মালিক। বাগজানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখেছি প্রায় ৩৯ জন কৃষকের ২০০ বিঘা জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইটভাটা মালিক ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি ব্যাপক জমির ধান ক্ষতি হওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন।
রাজশাহীর সময় / জি আর
