সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ রাজশাহী নগরীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বর রেলগেট থেকে নওহাটা ব্রিজঘাট পর্যন্ত বিমানবন্দর সড়কটি প্রায় আট কিলোমিটার প্রশস্তকরণ কাজ চলছে। তবে কাজে কচ্ছপের গতির কারণে এই সড়কের দুই ধারের বাড়িতে বসবাসকারীরা যেমন ঝুঁকিতে রয়েছেন, তেমনি যাত্রী ও এলাকাবাসী রয়েছে দুর্ভোগের মধ্যে। বিশেষ করে সড়কের ধুলা-বালিতে অতিষ্ঠ দুপাশে বসবাসকারি মানুষ।
রেলগেট থেকে আমচত্বর পর্যন্ত এফ কনস্ট্রাকশন ও রানা বিল্ডার্স নামের দুটি প্রতিষ্ঠান সড়ক ও ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে। সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি ড্রেনের জন্য খনন করা হচ্ছে সড়ক সংলগ্ন ভবন ঘেঁষে। এতে অনেক ভবন ঝুঁকিতে রয়েছে। ভবনের মালিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
উন্নয়নকাজের যন্ত্রপাতি, মালামাল দীর্ঘদিন ধরে এগুলো রাস্তায় পড়ে থাকায় মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে যানবাহন চলাচলে। এসব এলাকায় নর্দমা ও রাস্তা নির্মাণ এবং সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। কিন্তু এই কাজে ধীরগতির কারণে এবং রাস্তায় পরিমানমত পানি না দেয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী ও চলাচলকারিরা।
রাস্তার অধিকাংশ এলাকাজুড়েই মাটি, বালু, পাথর ও কাঠ পড়ে আছে। আবার দিনের বেলাতে বালির ড্রাম গাড়িগুলোতে চলাচলে ব্যাপক বাধার মুখে পড়ছে চলাচলকারিরা। ওই রাস্তা দিয়ে একবার যাতায়াত করলেই জামা-কাপড় ধুলোবালিতে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অনবরত রাস্তার পাশের বাড়ি-ঘরগুলো ধুলা-বালিতে সয়লাব হয়ে পড়েছে। খাদ্যে ধুলো-বালি পড়ায় বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে জনসাধারণ।
ভুগরইল এলাকার আলিফ বলেন কাজে ধীরগতির কারণে সবাই পড়েছেন ভোগান্তিতে। আর এই দুর্ভোগ পোয়াতে হচ্ছে প্রায় দু’বছর থেকে। আরো কতদিন লাগবে কে জানে। দিনের বেলা রাস্তার মধ্যে কোনো রকমে চলাচল করা গেলেও রাতে খুব অসুবিধা হয়। ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, অনেকদিন আগে কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু শেষ হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রাস্তার কাজ শেষ হতে দেরি হওয়ায় শুধু চলাচলে কষ্ট হচ্ছে তা নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এব্যাপারে সওজের রাজশাহীর সড়ক উপ-বিভাগ-১ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাহিনুর রহমান জানিয়েছেন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী হাইওয়ে থেকে ১০ মিটার, মানে প্রায় ৩৩ ফুট দূরে ভবন নির্মাণ করতে হবে।
এই আইন না মেনে ভবন নির্মাণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার দায় ভবন মালিকেরই। আমাদের কিছু করার নেই।’ তিনি জানান, প্রায় পাঁচ ফুট গভীর করে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। ডেনের প্রস্থও পাঁচ ফুট। এ কারণে গভীর করে মাটি কাটতে হচ্ছে। তাই কিছু স্থাপনা ঝুঁকিতে পড়ছে বলে তিনি স্বীকার করেন। বড় বিষয় হচ্ছে উন্নয়ন কাজ করতে হলে ধুলা-বালি উড়বে। তবে যতদ্রুত সম্ভব কাজ এগিয়ে নেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রাজশাহীর সময়/ এইচ