নওগাঁ জেলা পত্নীতলা উপজেলার ৩ নং দিবর ইউপি চেয়ারম্যান রাহাদ জামানের হুমকির মুখে দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে একটি পরিবার।
আলোচিত চেয়ারম্যান রাহাত জামান-এর অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে ও নিঃশ্তার পাচ্ছে না বহিরামপুর (মল্লিকপুর), গ্রামের ইয়াকুব আলীর পরিবারের সকল সদস্যগণ।
ইয়াকুব আলী ছেলে আকবর আলি মল্লিকপুর মোড়ে চকসনাতন গ্রামের মৃত ইমাম আলী মন্টুর ছেলে সৌমিক হাসান টুটুলের নিকট হইতে ৭ বছর পূর্বে জমি ক্রয় করে শ্রেণী পরিবর্তন করে তাহাতে আমবাগান ও দোকানঘর নির্মাণ করে। এদিকে টুটুলের ভাই তৌফিক হাসান রাব্বি পাশে তার অংশ থাকা সত্ত্বেও উক্ত শ্রেণী পরিবর্তন সম্পত্তির উপর অংশ দাবি করে চেয়ারম্যান এর নিকট অভিযোগ দেয়। এরই জের ধরে আলোচিত চেয়ারম্যান অত্যাচার শুরু করে ওই পরিবারের উপর জোর পূর্বক দোকনঘর বন্ধ, পরিষদে ধরে আনাসহ নানা ধরনের অত্যাচার। এক পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদে একটি মীমাংসা টিম গঠন করা হলে এতে সিদ্ধান্ত হয় উকিলের লিখিত মতামতের যার প্রেক্ষিতে নওগাঁ উকিল বারের সিনিয়র উকিল রফিকুল ইসলাম বাচ্চু এর মতামত নেওয়া হয় মতামতে উল্লেখ রয়েছে আকবর আলীর শ্রেণী পরিবর্তন সম্পত্তি তারই দখলে থাকবে এখানে অন্য কেউ অংশীদারিত্ব দাবি করিতে পারিবে না। এরপরও ক্ষান্ত না হয়ে ওই অসহায় পরিবারের উপর নির্যাতনসহ চেয়ারম্যান তার বাহিনী দিয়ে দোকান ঘর তালা মারে। নিরুপায় হয়ে পরিবারটি আদালতের শরণাপন্ন হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪/৪৫ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলা নং ১৪৮পি/২০২২। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত সরজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) পত্নীতলাকে আদেশ দেন। একই সাথে শান্তি শৃংখলা রক্ষার জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এরই ধারা বাহিকতায় এএসআই(নিরস্ত্র) মো. মাসুম আলী উভয়পক্ষকে শান্তি শৃংখলা রক্ষার নোটিশ প্রদান করেন। তারপরও আদালতকে অবমাননা করে আলোচিত চেয়ারম্যান রাহাদ জামান নিজেই গত ০৬ এপ্রিল ২০২২ বেলা ১২টার দিকে সন্ত্রাসীবাহিনী সাথে নিয়ে দেশীয় মারনাস্ত্র হাসুয়া, শাবল, কোদাল, রড ও লাঠি ইত্যাদি নিয়ে জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে দোকানঘর ভাঙচুর ও পরিবারের ওপর হামলা চালায়।
যার প্রেক্ষিতে পত্নীতলা থানা ৯ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে চেয়ারম্যানের তিন জন বাহিনী কে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। অপরদিকে চেয়ারম্যান ও তার সহযোগী চারজন গত রোববার মামলা হতে জামিনে এসে প্রাণে মেরে ফেলার, অবরুদ্ধ সহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে আসতেছে। গ্রামে বসবাস করায় দুষ্কার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবারটির।খুব মানবতায় জীবনযাপন করছে পরিবারটি। কি করবে কোথায় যাবে কোন দিশা না পেয়ে সাংবাদিকদের নিকট কান্নাকাটি করে কথাগুলো বলেন আকবর আলীর সেজ ভাই আলমগীর হোসেন। তিনি আরো জানান আমাদের জীবন বাঁচা তাগিদে সকল সাংবাদিকদের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনে মানববন্ধন এবং আদালতের শরণাপন্ন হবেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান রাহাদ জামানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বারবার ফোন দিয়ে বন্ধ পাওয়া যায়।
রাজশাহীর সময়/এএইচ