২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:১০:০৩ পূর্বাহ্ন


নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৪-২০২২
নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা নিউ ইয়র্কে মেয়র কার্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ নিয়ে কনসাল জেনারেলের আলোচনা


নিউ ইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের বিষয় নিয়ে নিউ ইয়র্কের মেয়র অফিসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিশনার এডওয়ার্ড মারমেলস্টেইনের সাথে তার কার্যালয়ে আলোচনা করেছেন নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। স্থানীয় সময় বুধবার (২০ এপ্রিল) আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনাকালে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নানাবিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশ কমিউনিটির কল্যাণ, নিরাপত্তা এবং নিউ ইয়র্কের একটি উপযুক্ত স্থানে শহীদ মিনার স্থাপনসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়। বাংলা ভাষাকে নিউ ইয়র্কে আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার ও প্রসারের বিষয়ে কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কনসাল জেনারেল। 

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি হওয়ায়, এ বছরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল আগামীতে দু’দেশের মধ্যেকার বিরাজমান সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ আরো সুদৃঢ় ও সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আলোচনাকালে উভয়েই নিউইয়র্ক সিটি ও বাংলাদেশের কোন একটি মেট্রোপলিটান সিটির মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা (সিস্টার সিটি) প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেন। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে আরো বিকশিত করার জন্য ফিল্ম ফ্যাষ্টিভাল, ফুড ফ্যাষ্টিভাল ও বাংলাদেশের উপর চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা যেতে পারে বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়।

আলোচনাকালে তিনি কমিশনার এডওয়ার্ড মারমেলস্টেইনকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে অবহিত করেন। এসময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি ও পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং যে সকল খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে তা তাঁকে জানান।

নিউ ইয়র্কের সামাজিক ও সাস্কৃতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্পৃক্ততা ও সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে কমিশনার সিটি উন্নয়নে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। কমিউনিটির কল্যাণে আগামী দিনগুলিতে কনস্যুলেটের সাথে অধিকতর ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন কমিশনার। মেয়র অফিস ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের মধ্যেকার চলমান সহযোগিতা উত্তরোত্তর মজবুত ও গভীর হবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আলোচনাকালে কনস্যুলেট জেনারেলের কাউন্সেলর আয়েশা হক উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহীর সময়/এএইচ