২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৩১:৩৪ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে নগরীতে দাম বেশি রাখায় মুরগি বিক্রেতাকে জরিমানা
স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৪-২০২২
রাজশাহীতে নগরীতে দাম বেশি রাখায় মুরগি বিক্রেতাকে জরিমানা বেশি দামে মুরগি বিক্রি বিক্রেতা গুনলেন ১০ হাজার, ক্রেতা পেলেন ২৫০০


রাজশাহীতে নগরীতে ২২ টাকা দাম বেশি রাখায় এক মুরগি বিক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে শুনানি শেষে জরিমানা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ।

জানা গেছে, প্রতি কেজি ৫০০ টাকা দরে ১ কেজি ৩৫০ গ্রাম দেশি মুরগির দাম বিক্রেতা ৬৭০ টাকা নিয়েছিলেন। অথচ মূল্য তালিকায় দেশি মুরগির দর লিখে রেখেছিলেন ৪৮০ টাকা। সেই হিসেবে ভোক্তা রঞ্জু আহমেদের কাছে ২২ টাকা বাড়তি নিয়েছিলেন নগরীর হড়গ্রাম বাজারের শফি মুরগি ভাণ্ডারের মালিক শফি আলম। এই কাণ্ডে ওই মুরগি বিক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগের পর ২২ টাকা বাড়তি দিয়ে ক্রেতা পেয়েছেন আড়াই হাজার টাকা। ক্রেতা রঞ্জু আহমেদ পেশায় পুলিশ সদস্য। তিনি রাজশাহী পুলিশ লাইনে কর্মরত।

হাসান-আল-মারুফ জানান, ৬৭০ টাকায় ১ কেজি ৩৫০ গ্রাম ওজনের দুটি দেশি মুরগি কিনেছিলেন ক্রেতা রঞ্জু আহমেদ। মূল্য তালিকায় প্রতি কেজি দেশি মুরগির দাম ৪৮০ টাকা লিখে রাখলেও বিক্রেতা আদায় করেন ৫০০ টাকা করে। প্রথমে বিষয়টি না বুঝতে পারলেও পরে মূল্য তালিকা দেখে প্রতিবাদ জানান ভোক্তা। শেষে তার কাছে মুরগি বিক্রিতে আপত্তি জানান বিক্রেতা। বাধ্য হয়ে ওই সময় মুরগি নিয়ে ফিরে আসেন ক্রেতা। একইসঙ্গে মূল্য তালিকার ছবি তুলে রাখেন।

পরে তিনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দুই পক্ষকে শুনানিতে ডাকা হয়। সেখানে নিজের দোষ স্বীকার করেন মুরগি বিক্রেতা শফি আলম। পরে তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বিধি অনুযায়ী, অভিযোগকারী আরোপিত জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ আড়াই হাজার টাকা পেয়েছেন। বাকি অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

রাজশাহীর সময়/এএইচ