২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:৩৯:৪৮ পূর্বাহ্ন


ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের শঙ্কা
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৩-২০২৫
ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের শঙ্কা সাসেক-২ প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলমান। ছবি: সংগৃহীত


ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উন্নয়ন কাজ চলমান। তাই প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদযাত্রায় যানজটের শঙ্কা করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তবে যানজটমুক্ত ঈদযাত্রার প্রতিশ্রুতির দিয়ে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের চারলেনে যানজটমুক্ত যানবাহন চলাচল। চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ায় কোনো ভোগান্তিতে পরতে হয়না চালক ও যাত্রীদের।

তবে এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত সাসেক-২ প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। তার ওপর যমুনা সেতুতে সিঙ্গেল লেন। এতে এবারের ঈদেও যানজটের শঙ্কা করছেন চালক ও যাত্রীরা।

যাত্রীরা জানান, সংস্কার চলমান অংশে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। এবং গরমে ভোগান্তি বেশি হয়।

চালকরা জানান, পুরো রাস্তায় স্বস্তিতে গাড়ি চালাতে পারছেন তারা। তবে সিঙ্গেল এ রোডে প্রবেশ করলেই ভোগান্তির শেষ থাকে না।

তবে সেতু কর্তৃপক্ষের দাবি, যমুনা সেতুতে সমস্যা তৈরি না হলে ৫ কিলোমিটারের বেশি ৪ লেনের সুবিধা পাবে যানবাহন। আর যানজট এড়াতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ‘এবার ঘরমুখো সেতুগুলো চারলেন সুবিধা পাবে। এছাড়া আমাদের টোলপ্লাজায় দুপাশে ৯টা করে মোট ১৮টি বুথ সব সময় চালু থাকবে।’

সাসেক-২ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার রবিউল আওয়াল বলেন, ‘ব্রিজ-কালভার্টসহ প্রায় অধিকাংশ কাজ শেষ। আশাকরি ঈদযাত্রায় খুব বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।’

টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সব প্রচেষ্টা হলো ঘরমুখী যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার জন্য। আমরা সে লক্ষে বেশকিছু কাজ করে যাচ্ছি।’

স্বাভাবিক সময়ে এই মহাসড়কে উত্তরবঙ্গসহ ২৪ জেলার ১০ থেকে ১৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে। তবে ঈদ যাত্রায় তা বেড়ে যায় তিনগুণ।