১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১০:০৬:০৪ অপরাহ্ন


তাহিরপুর সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় মাটি চাপা পড়ে ১জনের মৃত্যু
মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৪-২০২২
তাহিরপুর সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের  সময় মাটি চাপা পড়ে ১জনের মৃত্যু তাহিরপুর সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় মাটি চাপা পড়ে ১জনের মৃত্যু


সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তে অবৈধভাবে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাই কয়লার গুয়ায় মাটি চাপা পড়ে ১জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃত ব্যক্তির নাম- অনিক মিয়া (১৯)। সে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা গ্রামের কদ্দুস মিয়ার ছেলে। আজ রবিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে এঘটনাটি ঘটেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- প্রতিদিনের মতো আজ রবিবার (১৭ এপ্রিল) ভোর থেকে উপজেলার লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, পুরান লাউড়, শাহ-আরেফিনের মোকাম, মনাইপাড় এলাকা দিয়ে আমিনুল ইসলাম, জজ মিয়া, রফিক মিয়া, নুরু মিয়া, নাজিম মিয়া, এরশাদ মিয়া, চাঁনপুর সীমান্তের রাজাই, নয়াছড়া, বারেকটিলা এলাকা দিয়ে আবু বক্কর, আলমগীর, সাহিবুর রহমান, বুটকুন মিয়া, রফিকুল ইসলাম, টেকেরঘাট সীমান্তের রজনীলাইন, বরুঙ্গাছড়া, বড়ছড়া, ভাঙারঘাট, খনিপ্রকল্প এলাকা দিয়ে ইসাক মিয়া, কামাল মিয়া, রতন মহলদার, মানিক মহলদার, বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে ইয়াবা কালাম মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, ইসলাম উদ্দিন, তাজু মিয়া, মানিক মহালদার, রতন মহালদার, শরিফ মহালদার, বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, রঙ্গাছড়া ও সুন্দরবন এলাকা দিয়ে লেংড়া জামাল, মস্তো মিয়া ও চারাগাঁও সীমান্তের এলসি পয়েন্ট, কলাগাঁও, বাঁশতলা তেতুলগাছ ও লালঘাট এলাকা দিয়ে খোকন মিয়া, রমজান মিয়া, শফিকুল ইসলাম ভৈরব, বাবুল মিয়া, হারুন মিয়া, কদ্দুস মিয়া, মানিক মিয়া, একদিল মিয়াগং পৃথক ভাবে ভারত থেকে কয়লা, পাথর, মদ, গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা, গরু, ঘোড়া, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, মোটর সাইকেল, চাল ও অস্ত্র পাচাঁর শুরু করে।

ওই সময় বালিয়াঘাট ও টেকেরঘাট সীমান্তের লাকমা ঈদগাঁ মাঠ সংলগ্ন ভারত সীমান্তের কাটা তারের ভেড়ার ভিততে অবস্থিত চোরাই গুহা দিয়ে সোর্স ইসাক মিয়া ও জিয়াউর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে কয়লা পাচাঁরের সময় শ্রমিক অনিক মিয়া (১৯) মাটি চাপা পড়ে। এঘটনাটি তাৎক্ষনিক ভাবে চারদিকে জানাজানি হলে পড়ে চোরাকারবারীরা সবাইকে ম্যানেজ করে মাটি খুড়ে দুপুর অনুমান সাড়ে ১২টায় ওই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে।

এব্যাপারে লাকমা ও টেকেরঘাট গ্রামের বাবুল মিয়া, নজরুল মিয়া ও লোকমান মিয়াসহ আরো অনেকেই বলেন- বর্তমানে কয়লার দাম খুব বেশি। তাই চোরাকারবারীরা প্রতিদিন রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কয়লা পাচাঁর করে।

এই অবৈধ কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে শুরু অনিক মিয়াই নয়, এখানে আরো ৬-৭জন একই ভাবে মাটি চাপা পড়ে মারা গেছে। গত সোমবার (১৪ মার্চ) ভোরে বড়ছড়া শুল্কষ্টেশন সংলগ্ন ভাংগাঘাট এলাকা দিয়ে কয়লা চুরি নিয়ে সংঘর্ষে জনিক মিয়া (২৫) নামের ১ চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছিল।

কিন্তু এসব মৃত্যুর ঘটনার ব্যাপারে কখনোই আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়না। একারণে সোর্সরা সীমান্তের চোরাকারবারীদেরকে নিয়ে সিন্ডিকেড তৈরি করে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে কয়লা, পাথর, কাঠ, মাদকদ্রব্য, গরু, ঘোড়া পাচাঁরে পর সাংবাদিক, পুলিশ ও বিজিবির নাম ভাংগিয়ে করছে মোটা অংকের চাঁদা উত্তোলন।

এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন- বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে কয়লা আনতে গিয়ে এক যুবককে মৃত্যু হয়েছে জানতে পেরেছি। তবে সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।       

রাজশাহীর সময় / এম আর