ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রোববার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১২৫ বলে ১৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন নাঈম। তার দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে তুলেছে ৪২২ রান।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ইশান কিষানের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৪০৯ রান করেছিল ভারত। বাংলাদেশের মাঠে এতদিন এটিই ছিল একমাত্র চারশছোঁয়া দলীয় সংগ্রহ।
বাংলাদেশের কোনো দলের ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ডটি ছিল আবাহনী লিমিটেডের। প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ২০১৮ সালের মার্চে ৪ উইকেটে ৩৯৩ রান করেছিল ক্লাব ক্রিকেটে দেশের সফলতম দলটি।
পরে দুই দফা চারশর কাছাকাছি যায় প্রাইম ব্যাংক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। এবার নাঈম দূর করলেন সেই আক্ষেপ। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি এই ওপেনার সাজান ১৮ চারের সঙ্গে ৮টি ছক্কায়।
সাব্বির হোসেনের সঙ্গে ১১০ বলে ১৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন নাঈম। ৯ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসে ৬৩ বলে ৭৩ রান করে ফেরেন সাব্বির।
দ্বিতীয় উইকেটে জাকির হাসানের সঙ্গে নাঈমের জুটিতে আসে ৬৮ বলে ৮৬ রান।
৩৮ বলে ফিফটি করা নাঈম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৮২ বলে। পরের ২৪ বলে পৌছান দেড়শ’র ঠিকানায়। তার ব্যাটিংয়েই ৩৭ ওভারেই তিনশ করে ফেলে প্রাইম ব্যাংক। এক ওভার পরই সালাউদ্দিন শাকিলের বলে কাভারে ধরা পরে ফেরেন নাঈম।
শামিম হোসেন (৮ বলে ১৬) ভালো শুরু পেয়েও বেশিক্ষণ টেকেননি। ষষ্ঠ উইকেটে মামুন-সাজ্জাদুলের ৫২ বলে ৮৪ রানের জুটিতে চারশ’ পেরিয়ে যায় দলীয় সংগ্রহ।
৩টি করে চার-ছক্কায় ২২ বলে ৪০ রান করেন মামুন। ৩৭ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংসে সাজ্জাদুল ৩ চারের সঙ্গে মারেন ২টি ছক্কা।
ব্রাদার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিতে আল আমিন হোসেন খরচ করেন ৭৭ রান। দলটির সাত বোলারও ওভারপ্রতি রান দেন সাতের উপরে।