নিজের চুলের ঘনত্ব নিয়ে সন্তুষ্ট এমন মানুষ খুব কমই আছেন। অনেককেই বলতে শুনবেন, চুল ঝরে মাথার সামনের দিকে টাক পড়ে যাচ্ছে। মাথার ত্বকের লোমকূপের কোনও সমস্যা, চুলের কোনও রোগ বা শরীরের অভ্যন্তরীণ কোনও সমস্যা থেকেই এই চুল ঝরার সমস্যা বাড়ে। একটি চুলের জীবনচক্রের তিনটি দশা। প্রথম তিন বছর হল অ্যানাজেন দশা। নতুন চুল বেড়ে ওঠার সময়। এর পরে ২-৪ সপ্তাহের একটা স্বল্পস্থায়ী পর্যায় হল ক্যাটাজেন। এর পরে ৩-৪ মাসের টেলোজেন দশা শেষ করে চুল পড়ে যায়। আবার নতুন চক্রের চুল এসে শূন্যস্থান পূরণ করে। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার হেরফের হলেই তখন লাগাতার চুল উঠতে থাকে।
অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের তারতম্য হলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। অনেকের ক্ষেত্রেই অ্য়ান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া দেখা দেয়, যেখানে মাথার বিভিন্ন অংশ থেকে গোছা গোছা চুল উঠে টাক পড়ার লক্ষণ দেখা দেয়। এই সমস্যা নামী দামি প্রসাধনী মেখে দূর করা সম্ভব নয়। আয়ুর্বেদে এমন কিছু টোটকা আছে যা চুল পড়ার সমস্যা কমাতে পারে। তেমনই একটি হল অশ্বগন্ধা। এই ভেষজ উদ্ভিদের ডাল শুকিয়ে বিশেষ উপায়ে মাথায় মাখলে টাক পড়ার সমস্যা দূর হতে পারে।
দেশের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’-থেকে প্রকাশিত গবেষণাপত্রেও অশ্বগন্ধার বহু গুণের কথা বলা হয়েছে। এটি কর্টিসল বা ‘স্ট্রেস’ হরমোনের ক্ষরণ কমায়। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণেও চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। তা ছাড়া থাইরয়েড থাকলেও চুল ঝরে। অশ্বগন্ধা থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যও বজায় রাখে।
কী ভাবে চুলে মাখবেন?
অশ্বগন্ধার পাউডার দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। সেটি কিনে নিতে পারেন। অথবা অশ্বগন্ধার ডাল গুঁড়ো করে পাউডার বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেই। জলে গুলে তা মাথায় মাখা যেতে পারে। না হলে অশ্বগন্ধার পাউডারের সঙ্গে ১ চামচ নারকেল তেল বা কাঠবাদামের তেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভাল করে মালিশ করতে হবে। অলিভ অয়েলের সঙ্গেও মেশাতে পারে। চুলে মালিশ করার ১৫ মিনিট পরে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।