২১ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার, ০৯:০৭:১০ অপরাহ্ন


রাজশাহীতে সেনাসদস্যকে মারধরের অভিযোগে রেলের গার্ডসহ আটক ৩
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০২-২০২৫
রাজশাহীতে সেনাসদস্যকে মারধরের অভিযোগে রেলের গার্ডসহ আটক ৩ রাজশাহীতে সেনাসদস্যকে মারধরের অভিযোগে রেলের গার্ডসহ আটক ৩


ট্রেনে ও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এক সেনাসদস্যকে মারধরের অভিযোগে রেলওয়ের গার্ডসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাদের আটক করে সেনাবাহিনীর একটি দল। পরে তাদের রাজশাহী রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আটক তিনজন হলেন- ঢাকা-রাজশাহী লাইনের সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড আতিকুর রহমান, অ্যাটেনডেন্ট মনছেহার আলী ও মো. মনির। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তাদের রেলওয়ে থানায় রাখা হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তাদের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একজন সেনাসদস্য বুধবার রাতে আন্তঃনগর সিল্কসিটি ট্রেনে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসছিলেন। আসন না পাওয়ায় তিনি আসছিলেন স্ট্যান্ডিং টিকিটে। শারীরিকভাবে অসুস্থ ওই সেনাসদস্য রেলওয়ের কর্মীদের অনুরোধ করেছিলেন তাকে বসানোর ব্যবস্থা করতে; কিন্তু রেলকর্মীরা তাকে বসানোর ব্যবস্থা করেননি।

ওই সেনাসদস্যের অভিযোগ তিনি দেখতে পান বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার কাছে স্ট্যান্ডিং টিকিট থাকলেও তাকে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়নি। তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এ সময় রেলওয়ের কর্মীরা তাকে ধাক্কাধাক্কি করেন।

জানা গেছে, ট্রেনে ওই বিষয়টির মীমাংসা হয়ে গেলেও ট্রেনটি রাজশাহী আসার পর প্ল্যাটফর্মে নেমে আবার ওই সেনাসদস্যকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এরপর রেলওয়ের ওই কর্মীরা চলে যান। পরে খবর পেয়ে রাতেই রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে সেনাবাহিনী।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার ময়েন উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ডিউটির জন্য রেলওয়ের ওই গার্ড এবং অ্যাটেনডেন্টরা স্টেশনে আসেন। তখন সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে রেলওয়ে থানায় নিয়ে যান। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, আটক তিনজনকে থানায় রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হয়তো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।