পাহাড় সমতুল্য অপরাধ করেও বহাল তবিয়্যতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা-শাখার আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক-লীগ সহ-সভাপতি মোঃ সেলিম রেজা। প্রকাশ্যে দাপটের সাথে চলাফেরা করলেও তাকে গ্রেফতার করছেনা পুলিশ এমনি অভিযোগ বিএনপি নেতা-সহ একাধীক স্থানীয়দের। স্বেচ্ছাসেবক-লীগ সহ-সভাপতি মোঃ সেলিম রেজা, তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার রাণীনগর, গোগ্রাম এলাকার মৃত একরাম আলীর ছেলে। এছাড়াও তিনি গোদাগাড়ী উপজেলার আওয়ামী-লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রশিদের গাড়ীর ড্রাইভার।
একাধীক স্থানীয়রা-সহ গোদাগাড়ী ইউনিয়ন দেউপাড়া বিএনপি’র সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই টুনু জানান, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক-লীগ সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ সেলিম রেজা, তিনি সাবেক এম.পি ফারুক চৌধুররীর আস্থাভাজন ও ব্যক্তিগত ক্যাডার। সেই সুবাদে বিগত আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের আলমে মাদক কারবারীদের কাছে চাঁদাবাজি, থানায় তদবির, অর্থের বিনিময়ে অন্যের জমি দখল করে শূণ্য থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি।
এছাড়াও বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি-করা সহ গত ৫ আগস্ট ২০২৪ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগে প্রকাশ্যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তারপরও অজ্ঞাত কারনে তার নামে একটি মাত্র মামলা হয়েছে এবং সেই মামলায় তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। জেল হাজত থেকে বের হয়ে পূর্বের কর্মকান্ড প্রকাশ্যে না চালালেও গোপনে আওয়ামী-লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন তিনি। নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে মামলা থেকে জামিনের জন্য দৌঁড়ঝাপ করছেন এবং মাদক ডিলারদের সাথে গোপন আতাতের মাধ্যমে মাদকের চোরাচালান কাজ অব্যাহত রেখেছেন। অদৃশ্য শক্তির বলে দাপটের সাথে চলাফেরা করছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা আব্দুল হাই। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও ডেভিল হান্টের অভিযানিক টিমের নিকট অত্যাচারী স্বেচ্ছাসেবক-লীগ নেতা সেলিম রেজার গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।