বিএনপির ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক সামরিক সচিব এবং রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিনের পক্ষে জনসমর্থন বাড়াতে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করা হয়েছে। জানা গেছে, ৮ ফেব্রুয়ারী শনিবার কামারগাঁ ইউপি জিয়া মঞ্চের উদ্যোগে দিনব্যাপী ইউপির বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা জিয়া মঞ্চ যুগ্ম আহবায়ক রজিব ইসলাম রাজীব, জেলা জিয়া মঞ্চ সদস্য আবুল হোসেন, তানোর উপজেলা জিয়া মঞ্চে আহবায়ক রাসেল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম এস কিবরিয়া প্রিন্স, ইউনিয়ন জিয়া মঞ্চের সভাপতি আনন্দ মোহন লেহেড়ী, ইউনিয়ন জিয়া মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লা, সহ- সভাপতি মেহদী হাসান, সহ- সভাপতি সুইট মন্ডল, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইনুর নবী ডায়মন্ড, ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক ইউসুফ আলী, ইউনিয়ন কৃষকদলের সস্পাদক আব্দুর রউফ, ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা আব্দুস সামাদ, ইউনিয়ন বিএনপি'র সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক জারদিস বিশ্বাস, সাবেক ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম, ইউনিয়ন কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুর রহমান , ছাত্রদলের আহ্বায়ক সজিব ইসলাম, যুবনেতা হিমেল, অলি, হাসিবুল ও রুবেলপ্রমুখ।এছাড়াও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত।
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত বক্তাগণ বলেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। দেশ পুনর্গঠনে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনগণ ঐক্যবদ্ধ। দেশ পুনর্গঠনে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আহ্বান করেন বক্তারা।
উপজেলা জিয়া মঞ্চের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এম এস কিবরিয়া প্রিন্স বলেন, তানোরের মানুষ কোন ফ্যাসিস্ট কে রাজপথে দেখতে চাই না। তিনি বলেন তানোর গোদাগাড়ীর কৃতি সন্তান বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক সামরিক সচিব ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) শরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে তানোর-গোদাগাড়ী বিএনপি ঐক্যবদ্ধ।
ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক সাইনুর নবী ডায়মন্ড তানোর গোদাগাড়ীর সকল নেতৃবৃন্দকে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক সামরিক সচিব ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অবঃ) শরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে বিএনপির ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফায় বলা হয়েছে-
জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন।
সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্রসত্ত্ব (Rainbow Nation) ও 'জাতীয় সমন্বয় কমিশন (National Reconciliation Commission') গঠন।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাযধায়ক সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তন।
আইনসভা, মন্ত্রীসভা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিচার বিভাগের মাঝে ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা অনুর্ধ্ব পরপর দুই মেয়াদ নির্ধারণ। বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আইন সভার উচ্চকক্ষের প্রবর্তন।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন।
নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার এবং সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি সংশোধন। স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠণ ও শক্তিশালীকরণ। বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনঃপ্রবর্তন ও সংবিধানের আলোকে বিচারপতি নিয়োগ আইন প্রণয়ন।
গণমুখী ও জনকল্যাণমূলক প্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন গঠন।
মিডিয়া কমিশন গঠন করে তথ্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ।দূর্নীতি প্রতিরোধে দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়পাল নিয়োগ।
সর্বত্তরে আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।
আত্মত্মনির্ভরশীল জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠন।
ধর্মীয় স্বাধীনতার সর্বোচ্চ ও কার্যকর নিশ্চয়তা প্রদান।
মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির আলোকে শ্রমজীবি মানুষের ন্যায্য মজুরী নিশ্চিত করা।
প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং নবায়নযোগ্য ও মিশ্র জ্বালানী ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ খাত আধুনিকায়ন।
জাতীয় স্বার্থের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধিকতর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা।
প্রশাসন ও সেবা বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো স্বশাসিত ও ক্ষমতাবান করা।
শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও স্বীকৃতি প্রদান।
কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী যুব উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বেকার ভাতা প্রবর্তন।
নারীর মর্যাদা, সুরক্ষা ও ক্ষমতায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ।
চাহিদা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা।
সবার জন্য স্বাস্থ্য" এবং "সর্বজনীন চিকিৎসা" ব্যবস্থা কার্যকর করা। প্রাথমিক ও প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রশিক্ষিত নারী ও পুরুষ পল্লী স্বাস্থ্যকর্মীর ব্যবস্থা করা এবং সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা সুবিধা নিশ্চিত করা।
কৃষকের উৎপাদন ও বিপণন সুরক্ষা দিয়ে কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা।
সড়ক, রেল নৌ পথের আধুনিকায়ন ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ এবং নদী শাসন ও খাল, খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণা এবং আণবিক শক্তির উন্নয়ন ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা।
যুগোপযোগী, পরিকল্পিত, পরিবেশবান্ধব আবাসন এবং নগরায়ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।