বর্ষপঞ্জীর দিকে তাকালে তাঁর বয়স এখন ৫১। কিন্তু সে বয়স তো শুধুই সংখ্যামাত্র। এখনও তাঁর কোমরের বাঁকে ছেয়ে থাকে ‘ইশক’, বক্ষ বিভাজিকায় বিপথ গমনের হাতছানি, তাঁর এক ইশারায় পায়ের তলায় লুটিয়ে পড়তে পারে ‘জন্নত’। তিনি মালাইকা অরোরা। ছবিতে অভিনয় আজকাল আর করেন না তেমন, তবে তাঁকে নিয়মিত দেখা যায় নাচের বিভিন্ন রিয়্যালিটি অনুষ্ঠানে। পাশাপাশি নিজের রেস্তোরাঁও খুলেছেন। সমাজমাধ্যমে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা অগণিত। নিয়মিত শরীর চর্চার জন্যই বিখ্যাত তিনি। জিমের বাইরে প্রায়ই তাঁকে ছবিশিকারিরা বন্দি করেন ক্যামেরায়।
বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে মালাইকা ভাগ করে নেন একটি ফোটোশুটের নেপথ্য ভিডিয়ো, রিল আকারে। পরনে লাল শাড়ি, একই রঙের ব্লাউজ়। গলায় ভারী কুন্দনের চোকার। ফাঁকা কান, কপালে ছোট্ট টিপ। মালাইকার রেশমি চুলে নেই কোনও বাঁধন। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, “আমি সাধারণত শাড়ি পরি না, কিন্তু যখন পরি, তখনই অবাক হই, কেন আমি আরও বেশি বেশি শাড়ি পরি না! বিশেষত লাল শাড়ি।”
মালাইকাকে বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় শরীরচর্চার পোশাকে। এ ছাড়া নানা সময় পশ্চিমী পোশাকেই তিনি ধরা দেন ক্যামেরায়। তবে তাঁর নির্মেদ শরীর যে ভারতীয় পোশাকের জন্য দারুণ উপযুক্ত সে কথা বলতেই হয়। ‘ছাইয়াঁ ছাইয়াঁ’ হোক বা ‘মুন্নি বদনাম’— শাহরুখ থেকে সলমন, সকলের সঙ্গেই তিনি দেশি অবতারে আগুন ধরিয়েছেন পর্দায়।
তবে, মালাইকার সৌন্দর্যের অনুরাগীর যেমন অগণিত, তেমনই তাঁকে নিয়ে সমালোচনাও কম হয় না। নিন্দকেরা তাঁর হাঁটার ভঙ্গি নিয়ে কটাক্ষ করতেও পিছপা নন। মাস কয়েক আগে মালাইকে সেই কটাক্ষের জবাবও দিয়েছে সপাটে। নিজের রেস্তোরাঁয় উপস্থিত অতিথিদের সামনে ‘স্ট্যান্ড আপ কমেডি’-র আকারে নিজেকে নিয়েই মশকরা করেন মালাইকা। দাবি করেন, তাঁর হাঁটার ভঙ্গিকে কটাক্ষ করে ‘ডাক ওয়াক’ (হংসগমন) বলা হয়, তা তিনি জানেন। কিন্তু তা নিয়ে মোটেও ভাবিত নন। বরং তিনি নিজের নিতম্বের গুরুত্ব নিয়েই গর্বিত।