নীলফামারীর ডিমলা থানার ভবনটি এখন বিপদের নামান্তর। ফাটল ধরা দেয়াল, জীর্ণ ছাদ, আর ক্ষয়ে যাওয়া পিলারের ভরসায় চলছে থানার দৈনন্দিন কার্যক্রম। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন থানার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একইভাবে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় পুলিশি সেবা নিতে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্ষার সময় ছাদ দিয়ে পানি চুইয়ে পড়া, দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়া নিত্যদিনের ঘটনা। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন থানার কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ।
থানার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "প্রতিদিনই আশঙ্কা নিয়ে কাজ করছি। কখন যে দেয়াল ধসে পড়ে, বলা মুশকিল। আমরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
থানায় সেবা নিতে আসা এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, "পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে এসেছিলাম, কিন্তু ভেতরে ঢুকেই ভয় পেয়ে গেছি। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে মানুষ কীভাবে কাজ করে, ভাবতেই অবাক লাগে!
এ বিষয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফজলে এলাহী বলেন, ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন দপ্তরে জানিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয়রা দ্রুত থানার জন্য নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। নইলে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে বলে সাব জানিয়েন এলাকাবাসী।