এক সময় তাঁর উষ্ণ আবেদনে থরহরি ছিল বলিউড। তার পর হঠাৎই হারিয়ে গেলেন পর্দা থেকে। উঠল মাদক পাচারের অভিযোগ। যদিও সে সব ফুৎকারে উড়িয়ে তিনি বার বার বলেছেন, তিনি আধ্যাত্মিকতায় আকৃষ্ট। আর এ বার মহাকুম্ভ মেলায় একেবারে দুধ স্নান সেরে সন্ন্যাস নিয়ে ফেলেছেন মমতা কুলকার্নি।
তার পরই এক সাক্ষাৎকারে মমতা দাবি করেছেন, অতীতে তাঁকে যে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখা গিয়েছিল, তার কারণ তিনি সচেতন ছিলেন না। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই ওই ফোটোশুটের প্রস্তাব তাঁর কাছে আসে এবং সে সময় তিনি এর মধ্যে আপত্তিকর কিছু থাকতে পারে বলে বুঝতেই পারেননি। মমতা বলেন, “সে সময় আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি। আমাকে ডেমি মুরের একটি ছবি দেখানো হয়েছিল, আমার কিছু অশালীন বলে মনে হয়নি।” সেই বয়সেও মমতাকে কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল, জানিয়েছেন নিজেই। তাঁর কথায়, “সেই সময় আমি বলেছিলাম, ‘আমি এখনও অক্ষতযোনি’। কিন্তু কেউ বিশ্বাস করেননি। কারণ সকলেই তো ভাবেন বলিউডে আসার জন্য যে কোনও পথ বেছে নিতে পারেন যে কেউ।” তবে নিজেকে ছাড়পত্র দিলেও মমতা অন্যদের কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তাঁর দাবি, “হয়তো অর্থের জন্য অনেকেই এমন ভুল পথ বেছে নেন। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে তা হয়নি। কারণ আমার বাবা প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।” এর পরই তিনি দাবি করেন, তিনি যৌনতা সম্পর্কে অবগতই ছিলেন না। তাঁর কথায়, “আমি সে সময় যৌনতা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। নগ্নতার রূপ সম্পর্কেও অবগত ছিলাম না। তাই বুঝতেই পারিনি, এটা অশালীন।”
১৯৯৬ সালে মুক্তি পায় রাজকুমার সন্তোষীর ছবি ‘ঘাতক’ সেখানেই ‘কোয়ি যায়ে লে কে আয়ে’ গানে নেচেছিলেন মমতা। সে প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, “মাধুরী বা অন্য সকল নৃত্যশিল্পীই যখন নাচেন তখন তাঁরা গানের কথা শুনতেই পান না। নিজের ভিতরের ছন্দে নেচে চলেন। আমিও সেই সময় গানের কথায় মনোনিবেশ করিনি।”