০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার, ০৯:৩১:০১ অপরাহ্ন


‘স্বামীর কিডনি বিক্রি করিয়ে পাওয়া ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে স্ত্রী পালালেন প্রেমিকের সঙ্গে’!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০২-২০২৫
‘স্বামীর কিডনি বিক্রি করিয়ে পাওয়া ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে স্ত্রী পালালেন প্রেমিকের সঙ্গে’! প্রতিকী ছবি


সংসারে টানাটানি। মেয়ের পড়াশোনা, বিয়ের খরচ জোগাতে স্বামীকে কিডনি বিক্রি করতে বলেছিলেন স্ত্রী। পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বামীও স্ত্রীর কথা শুনেছিলেন। কিন্তু কিডনি বিক্রি হতেই হাতে আসা লক্ষাধিক টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দিলেন সেই বধূ! স্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হাওড়ার যুবক।

আদালত সূত্রে খবর, স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ায় পর প্রথমে থানায় গিয়েছিলেন হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের ধুলাগড়ি হাটতলা এলাকার বাসিন্দা পিন্টু বেজ। এর পরে হাই কোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেছিলেন তিনি। বছর ঊনচল্লিশের যুবক আদালতে জানিয়েছিলেন, মেয়ের পড়াশোনা আর বিয়ের জন্য টাকার ব্যবস্থা করতে এখন থেকেই সোনার গয়না বানিয়ে রাখতে চাইছিলেন স্ত্রী সুপর্ণা বেজ। এর জন্য বার বার তাঁকে কিডনিও বিক্রি করতে বলতেন। স্ত্রীর কথা শুনেই কিডনি বিক্রি করেছিলেন যুবক। পরে সেই কিডনি বিক্রির ১০ লাখ টাকা আর সোনার গয়না নিয়ে সুপর্ণা প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন পিন্টু।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে পিন্টু বলেন, ‘‘হঠাৎ এক দিন নিখোঁজ হয়ে গেল স্ত্রী। আর ফিরল না। পরে দেখলাম ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে গিয়েছে।’’

যুবক হেবিয়াস কর্পাস মামলা করায় স্ত্রীকে খুঁজে এনে আদালতে হাজির করানোর দায়িত্ব ছিল পুলিশের। কিন্তু পুলিশের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তকারীদের কাছে আগেই সুপর্ণা লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন যে, তিনি স্বেচ্ছায় ঘর ছেড়েছেন। তাঁর প্রেমিক এবং তিনি এখন স্বামী–স্ত্রীর মতো থাকছেন। কেউ তাঁকে জোর করে কিছু করাননি।

পুলিশের দেওয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ২৭ জানুয়ারি সোমবার হেবিয়াস কর্পাস মামলাটি খারিজ করে দেয়। আদালতের বক্তব্য, যে হেতু মহিলার হদিস পাওয়া গিয়েছে এবং তিনি স্বেচ্ছায় স্বামীকে ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছেন, তাই এ ক্ষেত্রে আর হেভিয়াস কর্পাসের আবেদন কার্যকর হবে না।