০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, রবিবার, ০৯:২৮:০০ অপরাহ্ন


কুমিল্লায় টয়লেটের ট্যাংকি থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০২-২০২৫
কুমিল্লায় টয়লেটের ট্যাংকি থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার প্রতিকী ছবি


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের ধনুসাড়া গ্রামের একটি বসতঘরের টয়লেটের ট্যাংকির ভিতর থেকে সাহেদা আক্তার নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সাহেদা আক্তার ওই গ্রামের মাওলানা আব্দুল মমিনের স্ত্রী। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে আশপাশের এলাকার শত শত উৎসুক লোকজন ওই বাড়িতে এসে ভিড় জমায়। মরদেহ উদ্ধার পর স্বজনদের আহাজারিতে শোকের ছায়া নেমে আসে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে ধনুসাড়া গ্রামের ওই বাড়ির বসতঘরের টয়লেটের ট্যাংকিতে সাহেদা আক্তারের (৬৫) লাশটি পাওয়া যায়।

স্বামী মাওলানা আব্দুল মমিন জানান, আমি স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করি। প্রতিদিনের মতো আজ ভোরে আমি ইমামতির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। এসময় আমার স্ত্রী নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিতে দেখেছি। এ ঘরে আমরা ২ জনই বসবাস করি। আমি মসজিদে নামাজ শেষ করে সকাল আনুমানিক ৭টায় বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে খোঁজ করি। ঘরে ও বাড়ির আশপাশে কোথাও না দেখে ঘরের পার্শ্ববর্তী টয়লেটের বাইরে পায়ের জুতা এবং তার পড়নের কাপড় দেখি। তাত্ক্ষণিকভাবে আমি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ঘর থেকে শাবল নিয়ে টয়লেটের ট্যাংকির স্লাব উপরে তুলে আমার স্ত্রীর পোশাকবিহীন নিথর দেহ দেখতে পাই। পরে পুলিশ এসে টয়লেটের ট্যাংকি থেকে লাশটি উদ্ধার করে। 

নিহতের ছেলে পল্লী চিকিৎসক মাছুম বিল্লাহ ওয়াহেদ সাংবাদিকদের জানান, আমরা পুরাতন বাড়িতে থাকি। নতুন বাড়িতে শুধুমাত্র আমার বাবা-মা থাকেন। কি কারণে কে বা কারা আমার মাকে হত্যা করেছে তা এখনই বলতে পারছি না। পুলিশের চৌদ্দগ্রাম-নাঙ্গলকোট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত তাবাসসুম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি হিলাল উদ্দিন জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করি। মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পিবিআই এর তদন্তদল কাজ করছেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে হত্যা না অন্য কিছু তা জানা যাবে।