পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় পলিনেট হাউসে ফসল উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকেরা। উপজেলার পাটুলীপাড়া সরকার পাড়া ও চকমৈশাট গ্রামে গড়ে উঠেছে দু'টি পলিনেট হাউস।
এ পদ্ধতিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারী বৃষ্টিপাত, তাপ, কীটপতঙ্গ ও ভাইরাসজনিত রোগের মতো প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে নিরাপদে শাকসবজি, ফলমূলসহ কৃষি উৎপাদন সম্ভব।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, এই পদ্ধতিতে সার ও কীটনাশক ছাড়াই সব ধরনের শাকসবজি, ফল রোপণ ও চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে অন্যদের মধ্যেও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়নের চকমৈশাট গ্রামে ২৫ শতক জমিতে কৃষি বিভাগ থেকে সম্পুর্ণ সরকারি সহযোগিতায় পলিনেট হাউস স্থাপন করা হয়েছে।পলিনেট হাউসে মানসম্মত চারা উৎপাদন করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ফেয়ারি এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক সবুজ। অর্জন করেছেন কৃষকের আস্থা। বর্তমানে পলিনেট হাউসে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকলি, শসা, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ হাউসে ৮০ হাজার চারা তৈরি করা হয়েছে।
ফেয়ারি এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী ওমর ফারুক সবুজ বলেন, আমাকে এই পলিনেট হাউসটি দিয়েছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। এর মাধ্যমে অসময়ের সবজি চাষ ও চারা উৎপাদন করে সফলতা পাচ্ছি। আমার এখানে উৎপন্ন করা সতেজ ও রোগমুক্ত চারা অনেকে সংগ্রহ করছেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন জাহান বলেন, নিরাপদ খাবার উৎপাদনের জন্য পলিনেট হাউজ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। পলিনেট হাউজ পদ্ধতিটিকে জনপ্রিয় করতে সব ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।