রাজশাহীর তানোরে বিএনপির রাজনীতিতে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শীষ মোহাম্মদের ভাতিজা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাস্টার একটি অপরিহার্য নাম।
জানা গেছে,বিগত ১৯৮৩ সালে সিরোইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। বিগত ১৯৮৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ভর্তি হন। তিনি ছাত্র জীবনে কলেজ ছাত্র দলের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বিগত ১৯৯২ সালে তিনি তানোর উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি হিসবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত ২০০৯ সালে নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটে তিনি কলমা ইউনিয়ন(ইউপি) বিএনপির সম্পাদক হয়েছেন।বিগত ২০১১ সালে তিনি কলমা ইউপি নির্বাচনে প্রতিদন্দীতা করে বিতর্কিত ফলাফল ঘোষণায় অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। বিগত ২০১৬ সালে কলমা ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে প্রতিদন্দীতা করেন।কিন্ত্ত এবারো বিতর্কিত ফলাফল ঘোষণায় তাকে পরাজিত করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তিনি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এছাড়াও ২০০৯ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত পর পর দুবার বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি রাজশাহী জেলার তানোর শাখার সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।আদর্শিক ও পরিক্ষিত নেতৃত্বের আইডল হযরত আলী মাষ্টার। তিনি কখানো কোনো লোভ লালসার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি। কখানো কোনো লোভ লালসায় দল নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বেইমানি করেননি। বিগত দিনে রাজনৈতিক মামলায় বিএনপির অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব প্রয়াত ব্যরিস্টার আমনুল হক কারাগারে যায়। এসময় রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হন তার ভাই ও সাবেক আইজিপি ড, এম এনামুল হক।কিন্ত্ত সেই নির্বাচনে বিএনপির একশ্রেণীর কথিত হেভিওয়েট নেতা অর্থের মোহে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে দল, নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বেইমানি করেন। এতে বিএনপির নিশ্চিত বিজয় হাতছাড়া হয়। অথচ তখানো হযরত আলীর পরিবার শেষ পর্যন্ত ধানের শীষের জন্য জীবন বাজী রেখে লড়াই করে গেছেন।হাজারো লোভ লালসার মোহে দল,নেতা ও নেতৃত্বের সঙ্গে বেইমানি করেননি।হাজারো দমন-পীড়ন সহ্য করে এখানো ধানের শীষের সঙ্গে রয়েছেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিমত দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড জোরদার, নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ এবং সক্রিয় করতে উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল একটি পদে হযরত আলীকে দেখতে চাই তৃণমুল। যেখান থেকে তিনি তৃণমুলের নেতাকর্মীদের কথা বলতে পারেন। এখানো তৃণমুল নেতাকর্মীদের কথা বলার তেমন কোনো জায়গা নেই। তৃণমুলের পরিক্ষিত পা-ফাটা সাধারণ নেতাকর্মীরা বড় নেতাদের কাছে পৌচ্ছাতে পারেন না। সুবিধাভোগীদের ভিড়ে তারা তাদের দাবির কথা, সুখ-দুঃখের কথা বলার সুযোগ পান না।
অবহেলিত এসব নেতাকর্মীর প্রতিনিধি হিসেবে হযরত আলী মাস্টারকে বিএনপির দায়িত্বশীল পদে দেখতে চাই তৃণমুল।
জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে বিএনপির অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব প্রয়াত শীষ মোহাম্মদের অবর্তমানে, তার যোগ্য উত্তরসূরী ভাতিজা হযরত আলী মাস্টার। বিএনপির আগামির নেতৃত্বে আশার আলোচনা ও পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন। প্রয়াত শীষ মোহাম্মদের দিকনির্দেশনা ও তার ছায়ায় থেকে তার হাতে ধীরে ধীরে গড়ে উঠা রাজনৈতিক নেতৃত্ব হযরত। তিনিও তার নেতৃত্বের গুনে সাধারণ মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও লোভ লালসার স্রোতে তিনি কখানো গা ভাসিয়ে দেননি। তিনি তৃণমুল নেতা ও কমী-সমথর্কদের সঙ্গে থেকে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম। এই সংগ্রাম রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সূচনার সংগ্রাম। তার বিরুদ্ধে নেই কোনো তদ্বির বাণিজ্যে, পদ বাণিজ্যে, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা,খাস পুকুর দখল, গভীর নলকুপ দখল,টেন্ডারবাজী ইত্যাদির অভিযোগ। পরিচ্ছন্ন নেতৃত্ব হিসেবে তিনি এখানো সবার কাছে সমান জনপ্রিয়।
জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন তরুণ নেতৃত্ব হযরত আলী মাষ্টার। ছাত্র জীবন থেকেই গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি থেকেছেন সামনের সারিতে দিয়েছেন সফল নেতৃত্ব, দল ও জনগণের অধিকার রক্ষায় তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ, সেরা সংগঠক, কর্মী-জনবান্ধব, আদর্শিক, পরীক্ষিত ও লড়াকু সৈনিক হিসেবে ধীরে ধীরে তৃণমুলের আস্থার প্রতিক হয়ে উঠছেন।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দলের ভিতর এবং বাইরের নানা ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার, প্রতিহিংসা ও গুজবের বহু অন্ধকার গলিতেও তিনি পথ হারাননি এবং গতানুগতিক রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি।নিজস্ব, স্বকীয়তা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন অমায়িক ব্যবহার ও প্রচণ্ড সাহসী নেতৃত্বের লৌহমানব এই তরুণ ছাত্র রাজনীতির সীমানা অতিক্রম করে ধীরে ধীরে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার পুরুষে হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার যে বহিঃপ্রকাশ তাতে তিনি না চাইলেও তৃণমুল নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ তাকেই তাদের নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। কারণ সাধারণ মানুষের নিখাদ ভালবাসার চেয়ে বড় কোন শক্তি নাই।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত,রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান প্রয়াত ব্যারিস্টার আমিনুল হকের অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বিএনপির রাজনীতিতে
যেমন তার পরিবারের কোনো বিকল্প নাই। তেমনি তানোরে বিএনপির রাজনীতিতে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শীষ মোহাম্মদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তার পরিবার থেকে যে কারো উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে আশা সময়ের দাবি। এছাড়াও শুধু সদর বা মফস্বল কেন্দ্রিক নেতৃত্ব নয় বরং সদর ও মফস্বলের সমন্বয়ে নেতৃত্ব দেয়ার দাবি তৃণমুলের।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হযরত আলী মাষ্টার বলেন, এখানো তৃণমুল নেতাকর্মীদের কথা বলার তেমন কোনো জায়গা নেই। তৃণমুলের পরিক্ষিত সাধারণ নেতাকর্মীরা বড় নেতাদের কাছে পৌচ্ছাতে পারেন না। সুবিধাভোগীদের ভিড়ে তাদের দাবির কথা, সুখ-দুঃখের কথা বলার সুযোগ পান না। তিনি বলেন, আমি এসব অবহেলিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকেছি এখনও আছি আমি এসব মানুষদের নিয়েই ঐক্যবদ্ধ বিএনপিকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। এজন্য তিনি সকলের কাছে সহযোগীতা প্রত্যাশা করেছেন।
তিনি বলেন, তৃণমুল নেতাকর্মীরাই বিএনপির প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভরসাও তারাই।