২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৫:২১:২৪ অপরাহ্ন


রাজশাহীর আমের সুফল পেতে গাছে হরমোন ও পর্যাপ্ত খাবার দেয়ার পরামর্শ গবেষকদের
মঈন উদ্দীন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৪-২০২২
রাজশাহীর আমের সুফল পেতে গাছে হরমোন ও পর্যাপ্ত খাবার দেয়ার পরামর্শ গবেষকদের রাজশাহীর আমের সুফল পেতে গাছে হরমোন ও পর্যাপ্ত খাবার দেয়ার পরমর্শ গবেষকদের


চলতি আমের মওসুমে রাজশাহীতে আমগাছে মুকুল  কম এসেছে। এগুলোকেই সফলভাবে টিকিয়ে রাখতে হরমোন দেওয়ার পাশাপাশি গাছকে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। তারা বলছেন তা না হলে গাছ মারা যাবে।

রাজশাহী আম গবেষণাকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন। গত বছর ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়। ফলন হয় ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৮৩ মেট্রিক টন।

রাজশাহীর প্রধান আম উৎপাদনকারী এলাকা হচ্ছে বাঘা ও চারঘাট উপজেলা। তবে এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। আম চাষিরা বলছেন, সব গাছে নতুন পাতা, মুকুল নেই। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এ রকম হয়নি।

রাজশাহী আম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলিম উদ্দিন বলেন, এবার আমের মুকুল কম, তাই আম বড় হবে। এতে তাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশাবাদী। হরমোনের ব্যবহার সম্পর্কে আলিম উদ্দিন বলেন, ২০২০ সালের মার্চ মাসে সরকার আম চাষের জন্য হরমোন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এর মূল নাম ‘প্যাকলোবুট্রাজল’। বাংলাদেশে ‘কালটার’ নামে এর বাজারজাতকরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, হরমোন ব্যবহারের নির্ধারিত মাত্রা রয়েছে। মাত্রা অনুযায়ী প্রতি বর্গমিটারে গাছের গোড়া থেকে এক ফুট দূরে রিং করে চার মিলিলিটার ওষুধ পাঁচ লিটার পানিতে মিশিয়ে দিতে হবে। দেওয়ার আধা ঘণ্টা পর সেচ দিতে হবে। পর্যাপ্ত খাবার দিতে হবে, না হলে দুই-তিন বছর পর গাছটি মারা যেতে পারে। আট-নয় বছরের ছোট গাছে হরমোন ব্যবহার করা যাবে না।

আমবাগানের মালিকেরা বলেন, সাধারণত আমবাগানে এক বছর ভালো মুকুল এলে পরের বছর কম আসে। যে বছর বেশি মুকুল হয়, সেই বছরকে ‘অন ইয়ার’ বলা হয় এবং যে বছর কম হয়, সে বছরকে ‘অফ ইয়ার’ বলা হয়। আমের নতুন নতুন জাত আসার ফলে এবং পরিচর্যার কারণে বেশ কয়েক বছর ধরে অন/অফ ইয়ারের ধারণা পাল্টে গেছে।

বাঘার আম বাগান মালিক আসাফুদ্দৌলা জানান, এবার গাছে মুকুল কম এসেছে। এলাকার মাত্র ৪০ শতাংশ গাছে আমের মুকুল এসেছে। গত বছর যেসব গাছ ফাঁকা ছিল, এবার সেগুলোতেই শুধু মুকুল এসেছে। আর যাঁরা হরমোন ব্যবহার করেছেন, তাঁদের কথা ভিন্ন। দেশে হরমোন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সরকার।

রাজশাহীর সময়/এএইচ