২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:২৮:১২ অপরাহ্ন


আদিবাসী কৃষক আত্মহত্যার প্রতিবাদে বিএমডিএ সদর দপ্তর ঘেরাও
স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৪-২০২২
আদিবাসী কৃষক আত্মহত্যার প্রতিবাদে বিএমডিএ সদর দপ্তর ঘেরাও আদিবাসী কৃষক আত্মহত্যার প্রতিবাদে বিএমডিএ সদর দপ্তর ঘেরাও


রাজশাহীর আলোচিত দুই আদিবাসী কৃষক আত্মহত্যার প্রতিবাদে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সদর দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করলেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষকেরা।

সোমবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে কয়েক’শো নারী-পুরুষ বিএমডিএ সদর দপ্তরে যান।

এ সময় আত্মহত্যা করা কৃষক অভিনাথ মারান্ডির স্ত্রী রোজিনা হেমব্রম ও রবি মারান্ডির ভাই সুশীল মারান্ডিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, সকালে তারা রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটি এই কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে সহযোগিতা করে রক্ষাগোলার সংগঠক বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অফ ভলান্টারী অর্গানাইজেশন (সিসিবিভিও)।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এতে দুই কৃষকের আত্মহত্যার জন্য দায়ীদের বিচার এবং সেচ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপিতে আত্মহত্যা করা কৃষক অভিনাথ মারান্ডির স্ত্রী রোজিনা হেমব্রম ও রবি মারান্ডির ভাই সুশীল মারান্ডি; রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি সরল এক্কা, উপদেষ্টা প্রসেন এক্কা, সদস্য রঞ্জিত পাহাড়িয়া ও সিসিবিভিও প্রতিনিধি মো. আরিফ স্বাক্ষর করেন।

স্মারকলিপি দেওয়ার পর কয়েক’শো নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরীরা বিএমডিএ সদর দপ্তরে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের কথা বলা হলে পুলিশ তাদের ভেতরে ঢুকতে দেয়। পরে একটি প্রতিনিধি দল বিএমডিএ’র ভারপ্রাপ্ত সচিব ইকবাল হোসেনকে একটি স্মারকলিপি দেন। এ সময় দুই কৃষকের স্বজনেরা ছাড়াও উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণ কুমার সরকার এবং সিসিবিভিও প্রতিনিধি মো. আরিফসহ রক্ষাগোলা কমিটির কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এরপর দুপুরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শেষে তারা ফিরে যান কৃষকেরা। তবে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে তারা আবার আসবেন বলে জানিয়ে যান।

উল্লেখ্য, গত ২৩ মার্চ গোদাগাড়ীর নিমঘুটু গ্রামের কৃষক অভিনাথ ও তার চাচাতো রবি বিষপান করলে তাদের মৃত্যু হয়। পরিবারের দাবি, বিএমডিএ’র গভীর নলকূপ থেকে সেচের পানি না দেওয়ায় দুই কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় দুটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করা হয়। পুলিশ মামলার একমাত্র আসামি গভীর নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এখন কারাগারে। গ্রেপ্তারের পর সাখাওয়াতকে চাকরিচ্যুত করেছে বিএমডিএ। তবে বিএমডিএ ও পুলিশ-প্রশাসন ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

রাজশাহীর সময়/এএইচ