ট্রেন থেকে নামিয়ে আজিজুল হক আকাশ নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রাজশাহী রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। পরে আকাশকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আকাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।
জানা যায়, পঞ্চগড় ভ্রমণের জন্য বৃহস্পতিবার রাতে একই শিক্ষাবর্ষের ২৫ ছাত্র রাজশাহী রেলস্টেশন যান। ‘বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসে’ বসে ট্রেন ছাড়ার অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় ২৫-৩০ জন এসে জানালা দিয়ে বিভাগের নাম জানতে চান। শিক্ষার্থীরা জানালে সানি নামে বিভাগের এক ছাত্রলীগ কর্মীর খোঁজ করেন এবং একজনকে সানি নামে শনাক্ত করলে, তিনি পরিচয়পত্র দেখিয়ে রেহাই পান।
আকাশের সহপাঠীরা জানান, কথাবার্তার একপর্যায়ে আকাশ ট্রেন থেকে নেমে দৌড় দেয়। ধাওয়া করে তাঁকে ধরে মারধর, মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ কেড়ে নেয় অজ্ঞাতরা। হকিস্টিকের আঘাতে আকাশের মাথা ফেটে যায়। তাঁকে রক্ষায় দু’পক্ষের ধস্তাধস্তিতে অন্তত ১২ জন আহত হন। একপর্যায়ে তারা বোয়ালিয়া থানায় গিয়ে নিজেদের শিবিরকর্মী পরিচয় দিয়ে আকাশকে পুলিশে দেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল (সাজ্জাদ বকুল) জানান, প্রক্টর, বিভাগের কয়েক শিক্ষকের সঙ্গে তারা থানায় গেলে ওসি আকাশকে গ্রেপ্তারের কারণ বা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা আছে কিনা তা জানাতে পারেননি।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মেহেদী মাসুদ জানান, আকাশকে তাদের কাছে জামায়াত পরিচয়ে কয়েকজন দিয়ে যান। পরে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল মোহাইমেন জানান, শিক্ষার্থীকে মারধরের কথা তারাও শুনেছেন। তবে এর সঙ্গে ছাত্রশিবিরের কেউ জড়িত নন।
মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কে বা কারা জামায়াতের নাম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীকে থানায় দিয়েছে তা জানি না। আমাদের কেউ করলে জানতাম বা সেখানে উপস্থিত থাকতাম।’